৪০ লাখ টাকার সোনা আত্মসাৎ, মাগুরায় বাড়ি ২ পুলিশ সদস্য সহ ৩ পুলিশ কারাগারে

বাংলাদেশ

মাগুরা সংবাদঃ

চোরাচালানীর কাছ থেকে ৮পিস সোনার বার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

শার্শা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক ৩ পুলিশ সদস্য হলেন বাগআঁচড়া তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই তবিবুর রহমান, এএসআই রঞ্জন কুমার মৈত্র ও কনস্টেবল (গাড়িচালক) তুষার সরকার। এদের মধ্যে এএসআই তবিবুর রহমান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বরাশুর হাইস্কুলপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে, এএসআই রঞ্জন মৈত্র মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সরইনগর গ্রামের মৃত রঘুনাথ মৈত্রের ছেলে ও কনস্টেবল তুষার সরকার মাগুরা সদর উপজেলার নাউখালী গ্রামের সুবাস সরকারের ছেলে।

শার্শা থানার এসআই আবুল হাসান দায়েরকরা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ১৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সামটা জামতলা এলাকায় ডিএসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে রেজাউল মাষ্টারের বাড়ির পাশে পুলিশ পুরিচয়ে ছিনতাই সংঘটিত হয়। এই বিষয়টি জানার পর পুলিশ অনুসন্ধান করে। পরে জানা যায়, ওই তিন পুলিশ সদস্য শার্শার মহিষাকুড়া গ্রামের আপদিনের ছেলে আক্তারুল (২৩) এবং আব্দুল মালেকের ছেলে সাজেদুরকে আটক করে। এবং তাদের কাছ থেকে ৮পিস সোনার বার জব্দ করে তা গোপন করে।

তারা বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে তা আত্মসাৎ কওে এবং দ্ইু চোরাচালানীকে ছেড়ে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে শার্শা থানায় ডেকে নেয়া হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে এবং আত্মসাৎকৃত সোনার ৮টি বার ফেরৎ দেন।এসআই তবিবর রহমান তার পরিহিত প্যান্টের মধ্যে থেকে স্কসটেপ দিয়ে বিশেষ কায়দায় মোড়ানো সোনার বারগুলি বের করে দেন। ওই বার গুলোর ওজন ৮৫ ভরি ১১ আনা ১ রোতি ২ পয়েন্ট। যার বর্তমান মূল্য ৪০ লাখ ২৭ হাজার ৮০৭ টাকা।শার্শা থানার এসআই আবুল হাসান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে তিন পুলিশ সদস্যকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এ দিকে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার জানিয়েছেন, ওই দুই চোরাচালানীর বিরুদ্ধেও শার্শা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে|

Leave a Reply

Your email address will not be published.