শ্রীপুরে চুরি হওয়া ৪ টি ভ্যান ক্রয়:অসহায় পরিবারের পাশে কিছু উদ্যমী যুবক

শ্রীপুর

মাগুরা সংবাদঃ

দশের লাঠি,একের বোঁঝা কথাটির প্রমান রাখলেন মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার কিছু স্বেচ্ছাসেবী মানুষ।কিছুদিন আগে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া বাজার থেকে একই দিনে শ্রীকোল ইউনিয়নের পূর্বশ্রীকোল গ্রামের অলিয়ার মোল্যা এবং খামারপাড়া গ্রামের দুলাল শেখের ২ টা ভ্যান চুরি হয়ে যায়।কিছু স্বেচ্ছাসেবী মানুষ এগিয়ে আসে অসহায় এই পরিবারগুলোর পাশে।তৎকালীন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান ভ্যান ক্রয়ে প্রতিটা পরিবারের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে প্রদান করেন।ভ্যান ক্রয়ের বাকি টাকা সংগ্রহের জন্য উদ্যোগ নেই এই স্বেচ্ছাসেবী উদ্যামী মানুষগুলো। অবশেষে অসহায় এই পরিবারগুলোকে ভ্যান ক্রয় করে দিতে সক্ষম হয় স্বেচ্ছাসেবী উদ্যামী মানুষগুলো । তার কিছুদিন অতিবাহিত হতে না হতে আবার খামারপাড়া বাজার থেকে শ্রীকোল ইউনিয়নের দাইরপোল গ্রামের আমিরুল ইসলামের ভ্যান চুরি!অসহায় এই পরিবার আবারো শরনাপন্ন হয় এই স্বেচ্ছাসেবী মানুষগুলোর নিকট,আবার এগিয়ে আসে এই উদ্যোমী মানুষগুলো।ভ্যান ক্রয়ের মাধ্যমে আবারো পাশে দাড়ায় এই অসহায় পরিবারের। কয়েকদিন অতিবাহিত হতে না হতেই আবার ভ্যান চুরি!এবার টুপিপাড়া গ্রামের আলীর ভ্যান ঘরের বারান্দা থেকে চুরি হয়ে যায়।আবার আলী শরনাপন্ন হয় সেই উদ্যোমী মানুষগুলোর কাছে।আবারো এই অসহায় পরিবারের পাশে সেই উদ্যোমী মানুষগুলো।দশ জনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ভ্যান ক্রয় করে দেয় আলীর। এ পর্যন্ত এই উদ্যোমী স্বেচ্ছাসেবী মানুষগুলো একে একে ৪ টি অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে।সমাজের জন্য এই মানুষগুলোর কাজ অবশ্যয় প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। এ কাজের উদ্যোগ গ্রহনকারী শ্রীপুর উপজেলায় আলোকিত প্রাইভেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাগুরা সংবাদকে জানান,সমাজের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে,অসহায় এই পরিবারের প্রতি সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি।তবে আমরা যে কাজটি করেছি তাহা কারো একার পক্ষে সম্ভব নই।মোঃ মহসিন মোল্যা, মোঃ সাইফুল্লাহ ,মোঃ মাহফুজুর রহমান,মোঃ নূর ইসলামের মত কিছু যুবকের জন্যই আজ আমরা অসাধ্যকে সাধন করতে সক্ষম হয়েছি।যুব সমাজ চাইলে সমাজের দৃশ্যপটই পাল্টে দিতে পারে।যুব সমাজের প্রতি আমার আহ্বান,মানবতার সেবাই আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় আলী আবেগ আপ্লুত ভাষায় বলেন,আমার ভ্যান হারিয়ে যাওয়ার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি।সংসার এবং ছেলে-মেয়ের লেখাপাড়ার খরচ জোগাতে খুবই কষ্টের মধ্যে আমার দিনগুলো যাচ্ছিল।আজ আমার কোন কিছু চাওয়ার নাই।এই মানুষগুলো আমার যে সহযোগিতা করলো আসলে আমি এই মানুষগুলোর প্রতিদানের কথা কোন দিন ও ভূলতে পারবো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.