শ্রীপুরে বন্ধই হচ্ছে না নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার

শ্রীপুর

মাগুরা সংবাদ:

মাগুরার শ্রীপুরে বন্ধই হচ্ছে না নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার। অবাধে করা হচ্ছে মাছ শিকার। ফলে হুমকির মুখে দেশীয় প্রজাতির মাছ। উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শেষ হলেও শেষ হয়নি নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার। অবাধে মাছ শিকার বন্ধে প্রশাসন রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খামারপাড়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন ও অবৈধ চায়না জাল উদ্ধার করেন। এছাড়া বড় বিলা মাঠ থেকে চায়না জাল উদ্ধার করা হয়েছে। এত পদক্ষেপের পরেও বন্ধ হচ্ছেনা নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার। উপজেলায় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে চায়না জালের সংখ্যা।

উপজেলার গয়েশপুর থেকে শুরু করে সব্দালপুর এবং সরইনগর থেকে শুরু করে বরিশাট গ্রাম পর্যন্ত কুমার নদের প্রায় ১০ কি.মি. জায়গা জুড়ে নিষিদ্ধ চায়না জালে মাছ শিকার করা হচ্ছে। মাছ শিকারে ব্যবহারিত হচ্ছে হাজার হাজার ফুট নিষিদ্ধ চায়না জাল। অবৈধ চায়না জাল নিষিদ্ধ হওয়ায় অসাধু মাছ শিকারীরা বেশ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করছে চায়না জাল।

এরই মধ্যে অনেকেই জাল নিয়ে এলাকার বিভিন্ন খালে-বিলে মাছ শিকারে নেমেছে। উপজেলার বড়বিল, গজারিয়া বিল, ডায়ের বিল সহ বিভিন্ন ছোট-বড় বিলে অবাধে চায়না জালে মাছ শিকার করা হচ্ছে। চায়না জালে ধরা পড়ছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় মাছ। শুধু মাছই নয় জলে থাকা কোন জলজ প্রানী ও রক্ষা পাচ্ছে না এ জাল থেকে। এমনকি মাছের ডিমও ছেকে তোলা হচ্ছে। এতে করে বিলুপ্তির মুখে প্রাকৃতিক সব ধরনের দেশীয় মাছ।

চিংড়ি, পুটি, রুই, কাতলা, টেংরা, কই, শিং ,মাগুর, তেলাপিয়া, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকি থেকে শুরু করে ছোট বড় কোন মাছই রেহাই পাচ্ছেনা। উপজেলার খাল, বিল, কুমার নদ ক্রমেই মাছ শুন্য হয়ে পড়েছে।

মৎসজীবি ও আড়ৎদার বাবলু বিশ্বাস বলেন, অতি দ্রুত অবৈধ চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ না করলে ১-২ বছরের মধ্যে দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়ায় যাবে না।

শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, এভাবে চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে মাছ শিকার করলে কিছুদিন পর আর কোন মাছই পাওয়া যাবে না।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আবারও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।

দেশীয় মাছ রক্ষার্থে প্রশাসনিক ভূমিকা আরো কঠোর হওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.