মাগুরা সংবাদঃ
প্রচুর পুষ্টি গুণসম্পন্ন ড্রাগন ফলের চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মাগুরার সদর উপজেলার গাবতলা বাজার সংলগ্ন ড্রাগন ফলের চাষ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ড্রাগন ফলের চাষ করে আশানুরূপ ফলনও মিলেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাগুরার সদর উপজেলার গাবতলা বাজার সংলগ্ন ড্রাগন ফলের বাগান রয়েছে। আদর্শ চাষী রিজু তিনি ড্রাগন বাগান করেছে।
জানা যায়, ফল চাষী রিজু বিভিন্ন মাধ্যমে ড্রাগন ফলের বিষয়ে জানতে পারে। আর তা জেনেই তিনি ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। পরবর্তীতে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ড্রাগন ফল ও চাষাবাদ বিষয়ে আরও সম্যক ধারণা নিয়ে তিনি ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করেন। একটি ড্রাগন ফল গাছ ২০-২২ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। ড্রাগন বিদেশি ফল হলেও ড্রাগন ফলের সতেজ করা স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বাংলাদেশেও এখন এই ফল চাষ হচ্ছে। আর পুষ্টিগুণ কমলা বা গাজরের চাইতে বেশি। ড্রাগনের রয়েছে অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। বয়স বাড়ার চিহ্ন দূর করা থেকে শুরু করে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এই ফল। গর্ভবতী মায়েরাও খেতে পারেন সুস্বাদু ড্রাগন। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের সাদা বা লাল অংশে ২১ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা দৈনিক ভিটামিন সি’র চাহিদার ৩৪ শতাংশ পূরণ করতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে যে পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায় তা একটি কমলার সমান বা তিনটি গাজরের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি সরবারহ করতে সক্ষম। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ০.০৪ মি.গ্রা. ভিটামিন বি ১, ০.০৫ মি.গ্রা. ভিটামিন বি ২, ০.০১৬ মি.গ্রা ভিটামিন বি ৩ এবং ২০.০৫ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল আয়রনের ভালো উৎস। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ১.৯ মি.গ্রা. আয়রন থাকে। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম থাকে ৮.৫ মি.গ্রা. এবং ফসফরাস থাকে ২২.৫ মি.গ্রা.।