মাগুরায় মার্কেটে মানুষের ঢল,বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি

মাগুরা সদর

মাগুরা সংবাদ:

মাগুরায় স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সীমিত পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার প্রথম দিনই কেনাকাটার জন্য শহরে মানুষের ঢল নামে। সোমবারও দেখা গেছে একই দৃশ্য। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক কিংবা শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।
মাগুরার শহরের মার্কেটসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও সংলগ্ন সড়কে উপচেপড়া ভিড় ছিল। সোমবার সকাল থেকে কাপড়ের দোকানে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

হুমাইন নামে এক ক্রেতা বলেন, মার্কেট খোলার খবর শুনে এসেছি, ভেবেছিলাম লোকজন কম হবে। এজন্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। এসে দেখি লোকের উপচেপড়া ভিড়।
বিভিন্ন মার্কেটের স্বত্বাধিকার জানান, জেলা প্রশাসনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান খোলা হয়েছে। তবে ক্রেতাদের অনেকেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না।
মাগুরার শালিখা উপজেলার কাদিরপাড়া খেয়াঘাট বাজারের মুদি দোকানদার তৌহিদ জং বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা হয়েছিল। প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক ও গবেষক শ্রী ইন্দ্রনীল বলেন লক ডাউন শিথিল করার ঘোষণায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে।অনেকে বুঝে করছেন।আবার অনেকেই না বুঝে করছেন।আমি বলি,আপনার বলার স্বাধীনতা যদি আপনার জন্যে বিপদের কারণ হয়,সে পথে যাবেন না।এই জন্যেই যে শেষতঃ ঝুঁকিটা কিন্তু যার যার,তার তার।

সোমবার বিকালে মাগুরা জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং করছে। শর্ত না মানলে যেকোন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে। জেলা প্রশাসনের লোক মাঠে আছে। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করছি। মাইকিংও করা হয়েছে।

নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি জানান, এই পরিস্থিতিতে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হয়নি। এবার মনে হয় করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যবিধিসহ বেশ কিছু শর্ত দিয়ে শনিবার জেলা প্রশাসনের সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার সকাল ১০ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.