রোহিঙ্গা আতঙ্কে ভুগছেন মাগুরাবাসী / মাগুরা সংবাদ

মাগুরা সদর

মাগুরা সংবাদঃ

রোহিঙ্গা আতংকে ভুগছেন মাগুরাবাসী। বেশ কয়েকদিন ধরে শোণা যাচ্ছে রোহিঙ্গারা মানুষ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। শিশুদের হত্যা করে মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঝিনাইদহে,খুলনা, ডুমুরিয়া, যশোর, কেশবপুর সহ আশপাশ এলাকাতে রোহিঙ্গা ঢুকে ছোট বাচ্চাদের গলাকেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে প্রচার করা হচ্ছে।যার প্রভাবে আতঙ্কে আছেন মাগুরাবাসী।কিন্তু পুলিশের দাবী বিষয়টি গুজব।

এর আগে খুলনার ডুমুড়িয়া থানা এলাকায় রোহিঙ্গা সন্দেহে একজন গনপিটুনিতে নিহত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) এ প্রচার করে ডুমুড়িয়া, যশোর ও কেশবপুর এলাকতে পুলিশের ঝটিকা অভিযানে বেশ কিছু রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। কিন্তু পুলিশের সাথে কথা বললে এ ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায় নি।ডুমুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বলেন,যে লোকটিকে রোহিঙ্গা সন্দেহে গনপিটুনিতে মারা হয়েছে, সে রোহিঙ্গা নয়।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে,১৫ই মে নড়াইল জেলা সদরের মুলিয়া বাজার থেকে রোহিঙ্গা সন্দেহে জসিম নামে এক যুবককে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।সদর থানা পুলিশের ওসি মো. ইলিয়াছ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সে রহিঙ্গা নয়, মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।

অথচ এই আতঙ্কে শিশুদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না পরিবারের লোকজন। এমনকি অনেক দরিদ্র পরিবারের লোকজন এখন রাতে বারান্দায় রাত যাপন বন্ধ করে দিয়েছে।

কোন কোন গ্রামের নারীরা ভয়ে রাতে রমজান মাসে পবিত্র রোজা রাখবার জন্য সেহরির রান্নাও বন্ধ করে দিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ এবং অনুষ্ঠানের মাইকে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। গ্রামে, হাট-বাজারে নতুন কোনো মানুষ দেখলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সন্দেহ হলে বা ঠিকমতো জবাব দিতে না পারলে তাদের মারধর করে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হচ্ছে।

রোহিঙ্গা আতংকে এখোন ছোট শিশুদের বাইরে বের হতে দিচ্ছেনা। এমনকি কিশোরদের কেও বাবা মা কড়া নজরদারিতে রাখছে। কখোন কি হয়ে যায়। এ যেনো এক না জানা চাপা আতংক।

প্রশাসনের করা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কেউ যদি এ ধরনের কোন ঘটনার সম্মুখীন হন, তাহলে আপনার নিকটস্হ্য থানায় যোগাযোগ করুন অথবা ৯৯৯ এর সহযোগিতা নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.