মাগুরা সংবাদঃ
শহিদুজ্জামান চাঁদ,শালিখা,মাগুরাঃ
গরুর খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মাগুরার শালিখার নাজমুল হক। দৃঢ় মনোবল, শ্রম আর ইচ্ছা শক্তিই যে মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন ঘটায় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছে নাজমুল হক। নিরলশ প্রচেষ্টা, আর মনোবল আজ তাকে সফলতার দ্বারে পৌঁছে দিয়েছে। শালিখা উপজেলার ৪ নং শতখালী ইউনিয়নে কাতলী গ্রামের মোঃ মকবুল বিশ্বাসের ছেলে নাজমুল হক। ২০০৫ সালে আড়পাড়া ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। সংশারের অসচ্ছলতার কারণে চাকরির পিছে অযথা সময় নষ্ট না করে ছোট পরিসরে গরুর খামার করার পরিকল্পনা নেয়।আজ থেকে ৬ বছর আগে নানি ফিরোজা বেগমের জমানো ১৮ হাজার টাকা দিয়ে ১টি বকনা বাছুর গরু কিনে শুরু করে জীবন যুদ্ধের পদযাত্রা। অল্প পুজি নিয়ে তার মনোবল থেমে থাকেনি। গরুটিকে ভালভাবে লালন পালন করে দের বছর পর তা ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করে। উক্ত টাকা সংসারের কাজে ব্যয় না করে ঐ টাকা দিয়ে আবার ২টি বাছুর গরু ক্রয় করেন৷বছর খানেক পর তা ২ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করে সফলতা পান নাজমুল। এরপর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরিবারের দুধ খাওয়ার চাহিদা পূরণের জন্য খুদ্র পরিসরে খামার করে আজ তা বড় ধরনের খামারে পরিণত হয়েছে। বিশ্বাস শততা খামার নামে এলাকায় বেশ পরিচিতি রয়েছে খামারটির। বর্তমানে বড় ৪টি গরু রয়েছে এই ফার্মে। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। নাজমুল হক জানান তিনটি এড়েঁ ও একটি দুগ্ধ গর মোট ৮ লক্ষ টাকা দাম দিয়েছে ব্যাপারীগণ ৷তবে আমি ১০ লক্ষ টাকার নিচেই বিক্রয় করবোনা ৷ তিনি আরো বলেন, এইচএসসি পাস করার পর কোন চাকরি না পেয়ে খামার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়েছে তার মা রিনা বেগম ও বাবা মোঃ মকবুল বিশ্বাস। গরুর খামার করে মা,বাবা ও স্ত্রী ও ভাই বোন নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি। নিজেকে এখন ভাগ্যবান বলে মনে করেন নাজমুল হক। সরকারিভাবে পশু কর্মকর্তাদের যথাযথ সহযোগিতা পেলে মানুষ গরুর খামারের প্রতি আরো উৎসাহিত হবে বলে নাজমুল হক জানান। গরুর খামার করে যে আত্মনির্ভরশীল হওয়া যায় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন তিনি ৷