মাগুরা সংবাদঃ
মাগুরাসহ ১০ জেলায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাসি ফুটেছে কাঁঠাল চাষিদের মুখে। আঠালো এই ফলটি সাইজে খুব একটা বড়ো না হলেও স্বাদে অনন্য।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে নড়াইল, যশোর, খুলনা, মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাট, নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় ৯৮৭৮ হেক্টর জমিতে ১২হাজার ৯৭৩ মেট্রিক টন কাঁঠালের ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ বলছে, অনুকূল আবহাওয়ায় গাছে ব্যাপক কাঁঠাল ধরেছে। তবে মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কাঁঠালগুলোর বৃদ্ধি কম হয়েছে। এরপরও কাঁঠালের ভাল ফলন পেতে কাঁঠাল চাষীরা দিন রাত পরিচর্যা করে যাচ্ছে। কিছু কিছু গাছে তীব্র তাপদাহে কাঁঠাল আগাম পাকতে শুরু করেছে। এছাড়া সবজি হিসেবে বাজারে কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠাল উৎপাদনে কোনো খরচ না থাকায় চাষিরা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর কাঁঠাল রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে বলে আশা করছেন চাষীরা।
কাঁঠাল সহ মৌসুমী ফল সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনয়ি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী এ খাতে সংশ্লিষ্টদের।জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটসহ ১০ জেলায় কাঁঠাল পাকা শুরু হয়। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে কাঁঠাল পাকার ভরা মৌসুম। ওইসময় পাকা কাঁঠালের মৌ মৌ ঘ্রাণে মেতে ওঠে চারপাশ।
যশোর, খুলনা, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায়সবচেয়ে বেশি কাঁঠালের ফলন হয়।এসব গাছে রয়েছে প্রচুর ফল। এ অঞ্চলের কাঁঠালের প্রয়োজনীয় চাহিদা এবার যে ফলন হয়েছে তাতে হয়ত অনেকটা মেটানো সম্ভব হবে।
এ অঞ্চলে প্রচলিত প্রথা হল “বৈশাখের শেষে জৈষ্ঠ মাসে বাড়ীর মেয়ে-জামাইকে নাইওর করে আম ও কাঁঠাল না খাওয়ালে মেয়ে-জামাই শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর উপর বেজায় অখুশী হন”। শ্বশুর-শ্বাশুড়ী দরিদ্র হলেও মেয়ে জামাইকে আম ও কাঁঠাল খাওয়ানো চাই কারণ মেয়ে-জামাইয়ের মন রক্ষা করতে হবে।