মাগুরা সংবাদঃ
শহিদুজ্জামান চাঁদ,শালিখা,মাগুরাঃ
মাগুরার শালিখা উপজেলার ভাটোয়াইল গ্রামের সেই মেধাবী মেয়ে সেতু বিশ্বাস চলতি বছরের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সে ২০১০ সালে আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের মুখ উজ্জল করে ৷ যে বিদ্যালয়টি বর্তমান বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব উপাধি লাভ করেছে ৷ ২০১৩ সালে আড়পাড়া আইডিয়াল হাইস্কুল থেকে সে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। ২০১৬ সালে একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা মেধাবী ছাত্রী উপাধি অর্জন করে ৷ ২০১৮ সালে উত্তরা মাইল স্টোন কলেজ ঢাকা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে শহীদ সোহরাওয়ারর্দী মেডিকেল কলেজ ঢাকাতে এমবিবিএস ভর্তি হয়েছেন ৷এই মেধাবী মেযে সেতু বিশ্বাস কালুখালী রাজবাড়ী মৃগী শহীদ দিয়ানত কলেজের সহকারি অধ্যাপক পিজুষ কুমার বিশ্বাস ও শালিখা উপজেলার আদাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তপতী রায়ের কন্যা। সিতু বিশ্বাস বলেন সাফল্য যখন আমার পিতা মাতা ও শিক্ষকদের অনু প্রেরনায় তখন আমি তাদেরকে কি বলে কৃতজ্ঞতা জানাবো, সে ভাষা আমার জানা নেই। আমি চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। যেন কেউ আমাদের দেশে বিনা চিকিৎসায় মারা না যান। ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিলো, ডাক্তার হবো। আশা করি সৃষ্টি কর্তা আমার সেই স্বপ্ন পূরন করবেন ৷সেতু বিশ্বাসের পিতা পিজুষ কুমার বিশ্বাস ও মাতা তপতী রায় বলেন. মেয়ের সাফল্য অর্জনে আমরা খুবই আনন্দিত। আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম খাইরুল আলম বলেন, আমাদের ছাত্রী সেতু বিশ্বাস ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আমরা গর্বিত এবং ভবিষ্যতে ডাক্তারি পাশ করার পর বি,সি,এস প্রশাসন ক্যাডারে চাকুরী করবে এই প্রত্যাশা। আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তার বলেন,আমরা চাই সে শুধু লেখা পড়াই ভাল হবেনা। পাশাপাশি একজন ভাল আদর্শ মানুষ হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় শিশুদের শিক্ষা দিয়ে থাকি। আমি আশা করি সে একজন ভাল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন চন্দ্র ঢালী বলেন, সে স্কুলে শারীরিক,মানষিক ও মানবিক ভাবে সুন্দর পরিবেশে গড়ে উঠেছে। এ ছাড়াও স্কুলে খেলাধুলা, নাচ ও গান সহ লেখা পড়ার প্রতি খুবই যতœ বান ছিলো। স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতা, ভভিভাবকদের সহযোগিতা ও শিক্ষা বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় ফলাফল ভাল করছে। আমরা তার শুভকামনা করি।