শালিখার আড়পাড়া সুপার মার্কেট ভবনে ফাটল,জরাজীর্ণ অবস্থা

শালিখা

মাগুরা সংবাদঃ

শহিদুজ্জামান চাঁদ,শালিখা,মাগুরাঃ

মাগুরার শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের এক মাত্র সুপার মার্কেট ভবনটিতে ফাটল জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে পড়েছে। এখনই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা উচিৎ বলে জনসাধারণ মনে করছেন। কয়েক বছর আগেই একতলা বিশিষ্ট জরাজীর্ণ ওই ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ করা উচিৎ ছিল। যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুপার মার্কেট ভবনটিতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনের প্রত্যেকটি রুমের পিলাষ্টার খসে খসে পড়ছে। ভবনের দক্ষিণ পাশে সেই আমলের সৌচাগারটি ভেঙে পড়ে আছে। সেখানে আড়পাড়া বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করছে। এ ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে আশা জনসাধারণও ওই খানে নীয়মিত মলমুত্র ত্যাগ করে থাকেন। যে কারনে সামান্নতম সূর্যের তাপ বৃদ্ধি পেলেই দুরগন্ধে সুপার মার্কেট এলাকায় যাওয়া যায়না। যেখানে কমপক্ষে ৬/৭টি চায়ের দোকান, অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ,দুইটি সেলুন,একটি ঔষধের দোকান ও একটি টিসার্স ক্লাব রয়েছে। সুপার মার্কেটটি অনেক পুরাতন হওয়ায় উপরের ছাদ, দেয়াল ও পিলারের পিলাষ্টার খুলে পড়ছে। সামান্নতম বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ব্যবসায়ীদের সমস্ত মালামাল ও আসবারপত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নস্ট হয়। যে সকল ব্যবসায়ী ভবনটিতে থাকেন, তারাই জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে রঙ চটা বিবর্ণ ও বেহাল দশা ওই মার্কেটে।এ মার্কেটটির বাহির থেকে চাকচিক্য মনে হলেও ভিতরে তার জরাজীর্ন অবস্থা। অনেকটা বাহিরে ফিটফাট,ভিতরে তার সদর ঘাট।এ ব্যাপারে সুপার মার্কেটের দোকানদার মোঃ খোকন মোল্যার সাথে আলাপকালে তিনি জানান ভবনটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কোন রকম বাঁশখুটি দিয়ে উচু করে দোকানদারী করছি। পুরাতন ভবন হওয়ায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। যখন তখন উপর থেকে পিলাস্টার খুলে খুলে পড়ছে। ছাদ থেকে পানি পড়ে। তবে এ ভবনটি নতুন ভাবে মেরামত করলে হয়তো বসবাস যোগ্য হতো। জীবনের ঝুকি নিয়ে দোকানদারী করতে হচ্ছে। কখন না ভবন ভেঙে তাদের গায়ের উপর পড়ে। স্থানীয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, মার্কেটে চা খেতে এসে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। কখন যেন ভবন ভেঙে পড়ে। গতকালও আড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবের গায়ের উপর পিলাষ্টার খসে পড়েছে। আড়পাড়া বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমোর্তজা মোল্যা বলেন, ভবনটির জরাজীর্ন অবস্থায় বেশ কয়েক বছর যাবৎ। সরকার ভবনটি মেরামত করলে হয়তো ব্যবসায়ীরা ঠিক মত ব্যবসা করতে পারতো। তাছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত পরিমানে সৌচাগার না থাকায় ব্যবসায়ীরা ওই সুপার মার্কেটে অনেক সময় ভীড় জমিয়ে থাকেন। আমরা চেষ্টা করছি অতিদ্রæত বাজারে একাধিক সৌচাগার নির্মাণ করতে। আশা করি হয়ে যাবে। আড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আরজ আলী বিশ্বাস জানান,ভবনটির বেহাল দশার কারণে এখানে নিরাপদে কেউ থাকতে পারে না। সব সময়ই তাদেরকে নিয়ে দুশচিন্তা করতে হয়। এখানে আমি অস্থায়ী ভাবে বসে জনগনকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমি ইউএনও মহোদয়কে বলেছিলাম যে আপনি একটু সুপার মার্কেটটি পরিদশন করেন। কিন্তু তিনি আসেননি। এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙখলা,মাসিক ও সপ্তাহিক মিটিংএ উত্তোলন করেছি। কিন্তু কোন ফল হয়নি। সুপার মার্কেটের উত্তর পাশে জনসাধারণের যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আড়পাড়া বাজার শালিখা সড়কের পাশে একটি সৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যায়গা পেলে অল্প সময়ের মধ্যে আর একটি সৌচাগার বসানো হবে। এতে সৌচাগারের সংকট কেটে যাবে। সুপার মার্কেটের বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর রহমানের কাছে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, সুপার মার্কেটটি আমি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.