মাগুরার তাড়ড়ায় প্রচন্ড গরমে হাজারো কৃষকের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে একটি মাত্র টিউবওয়েল

কৃষি মাগুরা সদর

মতিন রহমান- মাগুরা সংবাদ:
রাস্তার দুই পাশ থেকে শুরু করে ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় দুইশত একরের বেশি। বিস্তৃত এক গোলাকৃতি ফসলের মাঠ। যেখানে ফসলের জমির আগাছা পরিষ্কার করা, জমিতে সার প্রয়োজন করা, ক্ষেতে ফসলের পানি সরবারহ করা সহ প্রতিদিন নানা রকম কাজে ছুটে আসেন চারপাশের প্রায় ১০ গ্রামের কৃষকগণ। এলাকার গোপালগ্রাম, বাহারবাগ, সংকোচখালী, নলনগর, সেনেসচর, ছোটজোকা, সিংড়া, চ্যাংগারডাঙ্গা, দুর্গাপুর তাড়ড়াসহ এসব এলাকার জমির মালিক ও কৃষকগণ এই মাঠে আসেন তাদের ফসলের জমিতে।

এই প্রচন্ড গরমের তাপদাহ মাথায় নিয়ে পানির পিপাসায় যখন ছটফট করে প্রাণ একটু খানি তৃষ্ণা মেটাতে। ঠিক তখনই গায়ের ঘাম নিয়ে টিউবওয়েলের পানি পান করেন কৃষকরা। অথচো এই পানি পান করার জন্য পুরো বিস্তৃন্ন মাঠ ঘিরে টিউবওয়েল মাত্র একটি।

সরোজমিনে মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের তাড়ড়া ফসলের মাঠে দেখা গেলো এমন চিত্র। কথা হলো মাঠে কাজ করতে আসা কৃষকদের সঙ্গে।

এবিষয়ে তাড়ড়া গ্রামের কৃষক সত্যেন্দ্রনাথ দাস জানান, তারা এত বড় মাঠে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মাঠের ভিতরে কাজ করেন। পিপাসা পেলে আবার পুনরায় বাড়ি ফিরে টিউবওয়েল থেকে তৃষ্ণা মেটান। কিন্তু এবারের ফসল মৌসুমে তারা মাঠের পুর্বডাঙ্গা মসজিদ ভিটার পাশে টিউবওয়েল পেয়ে খুশি এবং সেখানে থাকা টিউবওয়েলের পানি পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

এলাকার আরো কৃষক অসিত ভদ্র, সঞ্জিত দাস, ইউনূস জোয়াদ্দার সহ অনেক কৃষক একই রকম কথা বলেন। তারা আরো বলেন এত বড় মাঠে মাত্র একটি টিউবওয়েল দিয়েছেন। আমরা কৃষকগণ আমাদের আরো কয়েকটি টিউবওয়েল এই মাঠে দিলে আমরা কর্মজীবি মানুষগুলো পানির পিপাসা মেটাতে পারতাম। নয়তো তাদের খুব কষ্ট হয় বলে জানান কৃষকরা।

এবিষয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব ও তাড়ড়া গ্রামের মেম্বার শ্যামল কুমার দাস জানান, তারা বিআরডিবি প্রকল্পের সহায়তায় এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওই টিউবওয়েলটি মাঠে সেট করে দিয়েছেন। কৃষকদের কথা শুনেছি যদি আমরা আরো টিউবওয়েল বরাদ্দ পায় তবে ওই মাঠে দিতে পারি বলে আসস্ত করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.