শুভ জন্মদিন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার মাগুরার ‘সাকিব আল হাসান’

খেলাধুলা

মাগুরা সংবাদঃ

আজ ২৪ মার্চ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ৩২তম জন্মদিন। ১৯৮৭ সালের আজেকর এই দিনে মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই তারকা ক্রিকেটার। তার জন্মদিনে স্পোর্টসজোন-২৪ পরিবারে পক্ষ থেকে রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা।

বাবা মাশরুর রেজা ফুটবলের ভক্ত হলেও ছেলে বড় হতে থাকেন ব্যাট-বল নিয়ে। মাগুরার স্থানীয় একটি ক্লাবে খেলে ক্রিকেট রপ্ত করতে থাকেন সাকিব। বাঁহাতি ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দ্রুতই সমবয়সীদের ছাড়িয়ে যেতে থাকেন এই ক্রিকেটার। ক্রিকেটের প্রতি ছেলের আগ্রহ দেখে বাবা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)।

পরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দ্যুতিময় পারফরম্যান্সই সাকিবকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের।

২০০৯ সালে একমাত্র বাংলাদেশি অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন। এরপর টেস্টেও নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করে সেরা অলরাউন্ডারের আসনটি দখল করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের তিন বিভাগের সেরা অলরাউন্ডার হন এই ক্রিকেটার।

ওয়ানডে অভিষেকের পরের বছরই ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে অভিষেক হয় সাকিবের। আর ২০০৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি।

সাকিব তার পারফরম্যান্সের প্রামাণ দিয়েছেন ক্রিকেটের প্রত্যেকটি ফরমেটে। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে এ যুগের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ লিগেও দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। খেলেছেন বিশ্বের প্রায় সবগুলো লিগে।

এখন পর্যন্ত ৫৫ টেস্টের ১০৩ ইনিংসে ব্যাট করে সাকিব ৩৯.৬৬ গড়ে ৩৮০৭ রান করেছেন। রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফসেঞ্চুরি। সাদা পোশাকে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ২১৭। এটি আবার বাংলাদেশের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ। সমান টেস্টে ৯৩ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ২০৫ টি উইকেট। যেখানে বোলিং গড় ৩১.২৯ ও ইকোনোমি ৩.০১। ১০ উইকেট পেয়েছেন দু’বার। আর ৫ উইকেট পেয়েছেন ১৮বার। এক ম্যাচে তার সেরা বোলিং ফিগার ১২৪ রানে ১০ উইকেট। আর এক ইনিংসে ৩৬ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট।

ওয়ানডেতে সাকিবের ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ। ১৯৫ ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন ১৮৩ বার। যেখানে ৩৫.০৮ গড়ে করেছেন ৫৫৭৭ রান। রয়েছে ৭টি সেঞ্চুরি ও ৪০টি হাফসেঞ্চুরি। এক ম্যাচে তার সেরা ১৩৪ (অপরাজিত)। আর ১৯২ ইনিংসে বল করে ২৯.৬৯ গড় ও ৪.৪৪ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ২৪৭টি উইকেট। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার। সেরা বোলিং ফিগার ৪৭ রানে ৫ উইকেট।

৭২টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১২৩.০১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৪৭১ রান। রয়েছে ৮টি হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রান ৮৪। আর ৭১ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৭৫ উইকেট। ইকোনোমি ৬.৭৮। সেরা বোলিং ফিগার ২০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published.