ঝিনাইদহের ছেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খসরুর অব্যাহত অভিযানে বন্ধ রয়েছে পদ্মার ইলিশ নিধন!

বাংলাদেশ

মাগুরা সংবাদঃ  

ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর সাড়াশি অভিযানে জেলেরা নদী ছেড়ে পালিয়ে ঘরমুখী হচ্ছেন। অভিযানের তাড়া খেয়ে জেলেরা নদীর তীরে নৌকা জাল রেখে পালিয়ে যাচ্ছে। দিনরাত নদীতে অভিযান অব্যাহত রাখায় মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ফলে দেশে ইলিশের অভাব পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযানের কারনে নিধনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মা ইলিশ। দিনরাত কঠোর পরিশ্রমে পুরো নদীর রুপ বদলে দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরু। বয়সে তরুন হওয়ায় উদ্যমতা কাজে লাগিয়ে রক্ষা করছেন বেপরোয়া রাক্ষুসে জেলেদের হাত থেকে মা ইলিশ।
রক্ষা পাওয়া একেকটি মা ইলিশের পেটে প্রায় ১৫থেকে ২০লক্ষ ডিম রয়েছে। নদীতে বিদ্যমান থাকা ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে লোনা পানি থেকে পদ্মা নদীর মিঠা পানিতে এসেছে। এই নিরাপদ মৌসুমে সঠিক ভাবে ডিম ছাড়তে পারলে আগামী বছর দেশে ইলিশ থাকবে সবার হাতের নাগালে। “জাতীয় সম্পদ রক্ষা করবো, ইলিশ সম্পদ বাড়াবো” এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি নদীতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাপি কুমার দাসকে সাথে নিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে নদী পাহারা দিচ্ছেন। বলা চলে গত ৫দিন ধরে নদীতেই তার কর্ম সংসার। তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করে পুরো নদীর ইলিশ শিকার শাসন ব্যবস্থায় তিনি একজন সফল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
জানা যায়, আগের মত এখন আর ইলিশের জন্যে নদী পাড়ে ইলিশ ক্রেতাদের ভিড় নেই। নদী পাড়ের কয়েকটি ঘাট এলাকায় কঠোর অভিযানে মোবাইল কোর্টের ভয়ে সেই সব ঘাটেও নেই ইলিশ ক্রেতারা।
উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন বেষ্টিত পদ্মা নদী। প্রায় দুই হাজার মৌসুমী জেলেরা এ বছর নতুন জাল, নৌকা তৈরি করেছিলো মা ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে। প্রথম দিকে অভিযান দল নদী থেকে উঠে আসার পর-পরই বেপরোয়া জেলেরা তাদের ইলিশ শিকারের সামগ্রী নিয়ে নদীতে নামতেন। আবার অভিযানের বিষয়টি টের পেলে নদী থেকে পালিয়ে যেতেন।
গত ১৯ অক্টোবর তারিখ থেকে ইলিশ রক্ষার্থে কঠোর অবস্থানে নদীতে নামেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজ শাহিন খসরু। নদীতে দিনরাত অভিযানের জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেন তিনি। একদল উঠে আসার পর পরই আরেক অভিযান দল নদীতে নামছেন। জেলেরা ওই সাড়াশি অভিযানের মুখে পড়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। তার অভিযানে প্রতিনিয়ত জেলে আটক হয়। সাথে জাল ও নৌকা জব্দ করা হয়।
এই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর সাড়াশি অভিযানে এ পর্যন্ত ৮৯ জনকে জেল দিয়েছে, ২লক্ষ ৫৬হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ১১৮কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। আটককৃত জাল নদী পাড়ে পুড়ানো হয়। ওইসব জালের মূল্য প্রায় ২০লক্ষ টাকা। জব্দকৃত ইলিশ মাছ উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.