শ্রীপুরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাভাতা উত্তোলনের অভিযোগ

শ্রীপুর

মাগুরা সংবাদ :

আশরাফ হোসেন পল্টু,শ্রীপুর,মাগুরা:

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কওছার আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাহত না হয়েও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভারতীয় তালিকাভূক্ত ও লাল মুক্তিবার্তাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাগণের পক্ষে আরশাদুল ইসলাম তুর্কি মঙ্গলবার শ্রীপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। অভিযোগটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে আরশাদুল ইসলাম তুকি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কওছার আলী মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং-৪৯৯ কোন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি আমাদের প্লাটুনের একজন সহমুক্তিযোদ্ধা। তিনি কোন যুদ্ধে আহত হননি। এমনকি আমাদের প্লাটুন কমান্ডার/সেকশন কমান্ডার ও জানেন না যে, তিনি কোথায় কোন যুদ্ধে আহত হয়েছেন। তার শরীরে কোথায়ও কোন গুলি বা আঘাতের চিহ্ন নাই। তাঁর পাড়া প্রতিবেশীরা জানেন যে, তিনি গাছ থেকে পড়ে কোমরে আঘাত পেয়েছিলেন। তিনি অসত্য তথ্য দিয়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং-১৯২৯ সংগ্রহ করে গেজেটভূক্ত হয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা উত্তোলন করছেন। বিষয়টি এলাকার জনসাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণœ হচ্ছে। তাঁর দাবি অনুযায়ী ৮নং সেক্টরের অধীনে গবরা নামক স্থানের যে যুদ্ধের কথা বর্ণনা করেছেন। সে যুদ্ধে তিনি যোগদানই করেননি। তিনি স্বাক্ষী হিসেবে এই প্লাটুনের জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দিয়ে সেকশন কমান্ডার মৃত ইউনুচ আলী মোল্যা, সেকশন কমান্ডার মৃত রফিকুল ইসলাম রউফ ও মৃত হাফিজুর রহমান দুলালের নাম দিয়েছেন । যারা আদৌও বেঁচে নেই । তারা অনেক আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ্যাম্বুশ যুদ্ধের প্লাটুন কমান্ডার শেখ সামসউদ্দিন আহম্মেদ জানান, কওছার আলী যে এ্যাম্বুশ যুদ্ধে আহত হওয়ার কথা বলেন সেখানে তিনি ছিলেন না।
ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়মিতকরণ যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও জামুকার প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলেপ মোল্যা জানান, যাচাই-বাছাইয়ের সময় কওসার আলীকে যুুুদ্ধাহত হিসেবে প্রমাণ করতে বললে, তিনি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ম্যোল্যা নবুয়ত আলী বলেন, কওসার আলীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে শ্রীপুর বাহিনীর যুদ্ধকালীন প্লাটুন কমান্ডার মশারফ হোসেন মজাকে সব্দালপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কওসার আলী জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। তিনি গবরা নামক স্থানে এ্যাম্বুশ যুদ্ধে আহত হন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.