বিকাশ প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য মাগুরা শ্রীপুরের শিপন গ্রেফতার

শ্রীপুর

 

মাগুরা সংবাদ:

 

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকা থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। রোববার সন্ধ্যার দিকে বড় বাজার রিচার্জ পয়েন্ট নামক একটি বিকাশের দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই বিকাশ রিচার্জ পয়েন্ট দোকানের মালিক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেছন।
গ্রেপ্তার বিকাশ প্রতারক শিপন হোসেন (২৭) মাগুরা শ্রীপুর থানার সরদার কালীনগর গ্রামের বেলায়েত আলী মোল্লার ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকার রিচার্জ পয়েন্ট নামে একটি বিকাশের দোকান থেকে লোকজন টাকা পাঠালেই বিকাশ প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে গ্রাহকরা। প্রতারকরা রিচার্জ পয়েন্টের মালিক সেজে গ্রাহকদের কাছে ফোন দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলো। পর পর কয়েকটি পতারণার ঘটনা ঘটলে দোকানদার আরও সতর্ক হয়ে ওঠেন।

এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া শিপন হোসেন নামে এই ছেলেটির প্রতি সন্দেহ হয় দোকানদারের। সে প্রয়ই ওই দোকান থেকে তার মোবাইলে টাকা সেন্ড মানি করতো। গত ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে শিপন নামে ওই প্রতারক দোকানে এসে তার নাম্বারে সেন্ড মানি করাসহ দোকানের বিকাশের ক্যাশ ইন খাতার ছবি তুলে চলে যায়। কিছু সময় পর দোকানদার জানতে পারেন, তার দোকান থেকে ১৫হাজার টাকা পাঠানো সনি নামের এক গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যার দিকে আবারও প্রতারক শিপন হোসেন রিচার্জ পয়েন্ট নামক ওই দোকানে আসলে দোকান মালিকসহ স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় ওই দোকানদার আবু সালেহ আল মিজবাহ বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় এ পর্যন্ত প্রাই ৪৩ হাজার টাকা প্রতারণা করে উঠিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্রটি।

এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) শামিম হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি শিকার করেছে গ্রেপ্তার শিপন হোসেন। তিনি আরও বলেন, প্রতারক শিপনের কাজ ছিলো বিকাশের বিভিন্ন দোকান থেকে ক্যাশ ইন করা খাতার ছবি তুলে প্রতারণার মুল হোতাদের কাছে সর্বরাহ করা। ওইদিক থেকে প্রতারণার মাস্টার মাইন্ডরা দোকান মালিক সেজে গ্রাহককে ফোন দিয়ে পাঠানো টাকার সঠিক পরিমাণটা উল্লেখ করে গ্রাহকের বিশ্বস্ততা অর্জন করে কৌশলে পিন নাম্বার নিয়ে প্রতারণা করছিলো। এ ঘটনায় জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি নিশ্চত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.