মাগুরা সংবাদঃ
শহিদুজ্জামান চাঁদ,শালিখা,মাগুরাঃ
পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাগুরার শালিখা উপজেলা সদরের আড়পাড়া বাজার হতে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পূর্ব পাশে আড়পাড়া গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পানি বন্দি হয়ে চরম ভাবে মানবেতর জীবন যাপন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোঃ আব্দুল্লাহ আলমতি ও ডাক্তার সুভাষ চন্দ্র রায় এলাকাবাসির পক্ষে একটি লেখিত অভিযোগ করেছেন প্রেসক্লাব শালিখার সভাপতি বরাবর । অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষনের ফলে ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামটিতে বসবাসরত পরিবারের বাড়ী ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও স্থানীয় আড়পাড়া বাজারের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা হয়ে পড়েছে । যে কারনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা দুস্কর হয়ে পড়েছে ৷ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়।যশোর-মাগুরা মহাসড়কের আড়পাড়া বাজার সংলগ্ন পূর্ব পাশের বসতি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্ষার শুরুতে একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের কোন সু-ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে আড়পাড়া বাজারের ব্যবসায়ীগন ও গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘ বছর যাবত বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতে, আড়পাড়া বাজার শালিখা সড়কের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে এবং যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পূর্ব পাশে ফায়ার সার্ভিস এলাকার বাসিন্দারা চরম জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এলাকার বাসিন্দা হাজ্বি মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, বহু বছর ধরে এ এলাকায় বসবাস করলেও পানি নিষ্কাশনের কোন সু-ব্যবস্থা করার উদ্যোগ কেউ গ্রহন করেনি বলে খুবই দুঃখ্ প্রকাশ করেন তিনি। অপরদিকে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয় পরিষদ এর পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশন সমস্যা দূর করার কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বিশেষ করে আড়পাড়া ২ নং ওয়ার্ডে বসবাসরত অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনের ড্রেন গুলো ভেঙে যাওয়ায় বাজারের ব্যস্ততম আড়পাড়া শালিখা হাসপাতাল ও কালিগঞ্জ সড়কের মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক সামান্য বৃষ্টিতে জলামগ্ন হয়ে পড়ায় পথচারিরা চরম দূর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে। যে সকল স্থান দিয়ে অত্র এলাকার পানি বের হয়, সে সকল স্থান গুলি হল আড়পাড়া খাদ্য গুদামের উত্তর পাশে, এ্যাডঃ মোঃ ফরিদ্দুজ্জামানের বাড়ীর পাশ দিয়ে একই এলাকার শহিদুজ্জামান বিশ্বাস ও মোঃ আব্দুল কাদেরের বাড়ীর পাশ দিয়ে । অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের সামনে দিয়ে ভাল ভাবে পানি নিষ্কাশনের কোন সুব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগে জানা যায়।এব্যাপারে ভুক্তোভুগি ইউনিয়নবাসি সহ পথচারীরা জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আরজ আলী বিশ্বাস জানান, সরকারি ভাবে বরাদ্ধ পেলে পানি নিষ্কাশন করার হবে । উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোজাফফর হোসেন টুকু বলেন, সরকারি বরাদ্ধ পেলেই পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷ যাতে করে গ্রামবাসি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হন ৷