ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া ৫ জন কারাগারে

অপরাধ

রাজধানীতে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া পাঁচজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে রাজধানীর ওয়ারী থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম।

আবেদনে বলা হয়- আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে। মামলাটি তদন্তাধীন। আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই প্রক্রিয়াধীন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হয়ে মামলার সুষ্ঠু তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। এজন্য তাদের জামিন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাধাই এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাফিউল আলম ও তার ছোট ভাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মনিরুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মো. আবুল হায়াত, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার পশুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ এবং মোশাররফ হোসেন খান।

আসামিদের মধ্যে শাফিউল আলম বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি, মোশাররফ শিবিরের কর্মী। অপর তিন আসামি শিবিরের সাথী বলে দাবি পুলিশের।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ওয়ারী থানাধীন ২২ নং বনোগ্রাম লেনের ছয়তলা বাড়ির নিচ তলার মেস রুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের গোপন বৈঠকের সময় বিস্ফোরক দ্রব্যসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের দাবি।

এদিকে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজের স্বজনরা। ১২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই পাঁচজনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.