এবারও এশিয়ার সেরা ব্র্যান্ড স্যামসাং

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং ২০১৮ সালে আবারও এশিয়ার সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

 

টানা সাত বছর ধরে স্যামসাং এই অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও স্যামসাং ‘ইন্টারব্র্যান্ডস বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ডস ২০১৭’-এর র‍্যাংকিংয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে ছিল।

 

ফলাফলটি এসেছে ‘এশিয়াস টপ এক হাজার ব্র্যান্ডস’ নামক অনলাইন সার্ভে থেকে। ক্যাম্পেইন এশিয়া প্যাসিফিক ও নিলসন একত্রে জরিপটি সম্পন্ন করে।

 

১৩ টি দেশের বাজারের ভোক্তাদের উপরে জরিপটি পরিচালনা করা হয়। দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়শিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।

 

ভারত এবং চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের মার্কেট থেকে ৪০০জন জরিপটিতে অংশগ্রহণ করে। ভারত ও চীন থেকে জরিপটিতে যথাক্রমে ৮০০জন এবং ১ হাজার ২০০ জন ভোক্তা অংশ নেয়। জরিপের ভারসাম্য বজায় রাখতে অংশগ্রহণকারী ভোক্তাদের মাসিক আয়, লিঙ্গ এবং বয়স বিবেচনায় রাখা হয়েছিল।

 

প্রতি বছর গবেষণা এবং উন্নয়ণ খাতে স্যামসাং ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। স্যামসাংয়ের উদ্ভাবিত পণ্যসমূহ তাদেরকে এক্ষেত্রে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছে।

 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ কিউএলইডি টিভি স্যামসাংয়ের গবেষণা খাতে বিনিয়োগকৃত অর্থ থেকে প্রাপ্ত পণ্যের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

 

উদ্ভাবনের পথপ্রদর্শক হওয়া ছাড়াও, স্যামসাং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। তারা এই অঞ্চলে ১৭০ টিরও বেশি স্মার্ট স্কুল এবং ২৬টি প্রযুক্তি-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে এবং সংশ্লিষ্ট কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতেই স্যামসাং এ সকল কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

 

এ প্রসঙ্গে স্যামসাং বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্যাংওয়ান ইউন বলেন, “এ পর্যন্ত স্যামসাং তার যাত্রায় যত বৈশ্বিক কৃতিত্ব অর্জন করেছে, তার সবই এসেছে গ্রাহকদের জীবনের মান সহজ করার প্রচেষ্টা থেকে। আমরা এ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই কারণ এ মানুষগুলোই আমাদের ব্যবসায়ের জন্য সবকিছু। আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই যারা স্যামসাং-কে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published.