মাগুরা সংবাদ:
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মমুখী হতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ব্যক্তিগত যানবাহন ও যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কোনো দুর্ভোগ নেই। যেসব যানবাহন ফেরি পারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে, সেগুলো সহজে নদী পারাপার হয়ে গন্তব্যে যেতে পারছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত শুধু যাত্রীবাহী বাসের সারি রয়েছে। প্রতিটি যাত্রীবাহী বাস কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিটের অপেক্ষার ফেরিতে উঠতে পারছে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন নদী পারাপার করার জন্য সার্বক্ষণিক ২০টি ছোট-বড় ফেরি ও ১৭টি লঞ্চ চলাচল করছে।
যশোর থেকে আসা আরিফুর বলেন, “ঘাটে যানজট থাকবে, এটা ভেবেই আগে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। ঘাট এলাকায় এসে দেখি চিত্র ভিন্ন। এবারের ঈদযাত্রাটা বেশ স্বস্তির হয়েছে।”
মাগুরা থেকে আসা যাত্রী মেহেরিন বলেন, “রোববার থেকে ক্লাস শুরু। শুক্রবার কিংবা শনিবার প্রচুর যানজট হবে ভেবে আগেই ফিরছি ঢাকায়। আজ এতটা ফাঁকা পাব ভাবতে পারিনি।”
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, “এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে বিআইডব্লিউটিসির উদ্যোগ আপনারা দেখেছেন। ঈদযাত্রাও স্বস্তির হয়েছে। আশা করছি এখন কর্মক্ষেত্রে ফেরা মানুষের ফিরতি যাত্রাও স্বস্তিরই হবে।”