ইউএনওর  বিরুদ্ধে সাংবাদিককে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন

মাগুরা সদর

মাগুরা সংবাদ:

ইউএনওর  বিরুদ্ধে সাংবাদিককে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন

মাগুরা জেলায় মোঃ আশরাফুল আলম সাগর নামে এক সাংবাদিককে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আটক করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর ) বেলা দুপুর ২ টায় মাগুরার সাংবাদিক সমাজের আয়োজনে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে
মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মোঃআশরাফুল আলম সাগরের উপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে তার উপর করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।

ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জানা যায়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গরীবদের দেয়া উপহারের ঘর তৈরীর অনিয়মের নিউজ ও ঘরের অনিয়মের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দরখাস্ত করতে সাহায্য করায় মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল ঘর পাওয়া ব্যাক্তিদের ভয় দেখিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য করে।কিন্তু বাধ্য করার বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দরখাস্ত করা রীমা নামে এক মহিলার ভিডিও চিত্রে প্রকাশ পায়।

মামলার বাদি ওবাইদুরের করা মামলার সূত্রে জানা যায়,আসামী প্রতারনার মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর দরখাস্ত করতে বলেন এবং সেটি দিতে অস্বীকার করলে চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।এতে আমার পা কেটে যায়। এসময় সুমন সরকার নামে আর এক ব্যক্তি এলে তার মাজায় লাথি মারা হয়। কিন্তু এর পরের দিনেই ধারণকৃত একটি ভিডিওতে মামলার বাদি ওবাইদুর বলেন আমাকে ধাক্কা দিলে আমি পড়ে যেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।কিন্তু তার মামলায় বা তার বক্তব্য দেওয়া ভিডিও ছাড়াও আরও একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় মহম্মদপুর  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) এর সামনে বাদি ওবাইদুর রীতিমত দৌড়াদৌড়ি করছে।তাহলে তার আঘাত কখন লেগেছে আর কখন নাটকের সূত্রপাত শুরু হয়েছে।অন্যদিকে একই ভিডিও চিত্রে সুমন সরকারকে দেখা যায় সুন্দর সাবলীলভাবে সে ইউএনওর সামনে দাড়িয়ে কথা বলছে।তাহলে কখন তার মাজায় আঘাত করা হলো।এদিকে একটি ভিডিও চিত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরখাস্ত করা রীমা নামের এক মহিলা জানান,ঘরের বিষয়ে যখন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল, ঠিক তখনই ইউএনও আমাদের সবাইকে বলেছে,যদি কোন সাংবাদিক আসে তাহলে তারে ধরে বেঁধে রাখবি।কাউকে কোন তথ্য দিয়ে আমাকে ফাঁসাবি না। তথ্য সংগ্রহকালে ইউএনও দ্রুততার সাথে ঘরের ফ্লোরের উঠে যাওয়া পলেস্তারা ঠিক করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় মেরামতের কাজ করেন।এই ভিডিওতে রীমা বলেন ওই সাংবাদিককে ইউএনও সাহেব ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।তিনি আরো বলেন সত্য কখনও গোপন থাকে না।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দরখাস্ত দিতে চেয়েছি এই কারণে যে, এক মাস যেতে না যেতে আমার ফ্লোরে বালি উঠতে শুরু করেছে।কোন জায়গায় টুল বা চেয়ার নিয়ে বসতে গেলে ঘরের ফ্লোর উঠে যাচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরখাস্ত দিতে যাওয়ায় আমাদের এখানে পানি উঠে গিয়েছিলো বলে ইউএনও দ্রুত খালের মত করে কেটে  পানি বের করে দিয়েছে।

এসময় মানববন্ধনে যোগদান দেওয়া মাগুরার বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও সুশীল সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ঘটনাটির তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন,ঘটনার অনেক গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে,তাই অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে কারা জড়িত সেটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.