মাগুর মাছের প্রসিদ্ধি থেকেই ‘মাগুরা’

মাগুরা সদর

 

মাগুরা সংবাদ :

বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক এলাকা মাগুরা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ জনপদের নাম মাগুরা।

১৮৪৫ সালে প্রথম মহকুমা করা হয় মাগুরাকে। মহকুমা হওয়ার পূর্বে মাগুরা এলাকাটি ভূষণা ও মহম্মদপুর নামে পরিচিত ছিল। মাগুরা ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর; এই ৪টি থানা নিয়ে মাগুরা জেলা গঠিত।

মাগুরার নামকরণ নিয়ে ঐতিহাসিকরা বিভিন্ন মত দিয়েছেন। “খুলনা শহরের আদিপর্ব” বইটির লেখক ঐতিহাসিক আবুল কালাম সামসুদ্দিনের মতে, মরা গাঙ থেকে মাগুরা নামটি এসেছে। মরা গাঙকে আঞ্চলিক ভাষায় মরগা বলা হয়। আবার অনেকের ধারণা মতে, ধর্মদাস নামক এক মগ জলদস্যু মাগুরার পার্শ্ববর্তী মধুমতি নদীর পাশে এক এলাকায় বসতি স্থাপন করে। মগদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়ে এবং তারা বিতাড়িত হয়। সেই মগ ও মরগা থেকে ‘মাগুরা’ নামের উৎপত্তি।

তবে এখন পর্যন্ত যে জনশ্রুতিটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সেটি হচ্ছে, মাগুরার খাল বিলে এক কালে প্রচুর মাগুর মাছ পাওয়া যেত। সেই মাগুর মাছের প্রসিদ্ধি থেকেই ‘মাগুরা’ নামটি এসেছে।

মাগুরা জেলার ঐতিহ্য হিসেবে বেশ কিছু উৎসব পালিত হয়। তার মধ্যে মাগুরা শহরের কাত্যায়ণী উৎসব অন্যতম। শারদীয়া পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নভেম্বর মাসে কাত্যায়ণী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আরো রয়েছে গাবতলার মেলা ও বড়ড়িয়া ঘোড়দৌড়।

মাগুরা জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ বা দুর্গ, বিড়াট রাজার বাড়ী, চন্ডীদাস ও রজকিনীর ঐতিহাসিক ঘাট, ওয়াবদাপাড়া খাল, গলাকাটা সেতু, বিনোদপুর বাজার, সিদ্ধেশ্বরী মঠ, পীর তোয়াজউদ্দিন-এর মাজার, কবি কাজী কাদের নেওয়াজ এর বাড়ী উল্লেখযোগ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.