মাগুরায় ফেসবুকে ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার, রুখবে কে?

মাগুরা সদর

মাগুরা সংবাদ:

 

 

বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচারিত সামাজিক যোগাযোগ ‘ফেইসবুক’-এ ফেক আইডি দিয়ে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে সম্মানহানি করছে। স্বার্থান্বেষী মহল দেশ ও বিদেশে থাকা ব্যাক্তিদের ব্যবহার করে ধারাবাহিকভাবে এ অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবহার হওয়া ব্যাক্তিরা তথ্যের যাচাই-বাছাই না করে ফেইসবুকে প্রচার করে। ফেক আইডি থেকে কখন কার বিরুদ্ধে কোন ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়-এমন আতঙ্কে রয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তা,এমনকি সাংবাদিকরাও। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল ফেক আইডি (ব্যবহারকারীর পরিচয়বিহীন) ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য প্রচার করে রাজনৈতিক নেতা,সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের চরিত্র হনন করছে। আবার কিছু ব্যবহারকারী যাচাই-বাছাই না করেই ওই তথ্য শেয়ার করে বা লাইক দিয়ে থাকে। মূলত; ওইসব ফেক আইডির অধিকাংশই বিদেশ থেকে ব্যবহার করা হয় এবং ব্যবহারকারীর তথ্য গোপন রাখে। ফেক আইডিগুলোর ম্যাসেঞ্জারে যে কেউ ভুয়া তথ্য পাঠালে তারা প্রচার করে। ভুয়া তথ্য প্রচার করলে তাদের কি লাভ হয়-তা তারা জানে না। ফেক আইডি ব্যবহারকারীর পরিচিতজনরা তাঁর লেখা এবং প্রচারণা দেখে আইডির মূল ব্যবহারকারীকে চিনতে পারে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানহানি হয় এমন তথ্য প্রচারকারীদের মনে রাখা দরকার-‘প্রবাস থেকে তাকে কোন এক সময় দেশে আসতে হবে। ভুয়া তথ্য প্রচার করার ফলে যে কেউ স্কিনশর্ট দিয়ে তথ্যটি সংগ্রহে রাখছে। ফেক আইডি ব্যবহারকারী যখন দেশে আসবে তখন পাশের ভিন্নমতের কেউ প্রশাসনকে খবর দিয়ে তাকে ধরিয়ে দিবে’।

অবস্থাদৃষ্টে বুঝা যাচ্ছে-ফেইসবুকে গুজব ও অপপ্রচার একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে উপায় খুঁজতে হবে। অন্যথায়, প্রতিহিংসাবশত নিরাপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হতে পারে।

একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ‘ফেক আইডি ব্যবহারকারীরা আসলে মানুষ বলে মনে হয় না। কারণ-তাদের কোন চরিত্র নেই। সৃষ্টিকর্তার কাছে অবশ্যই এ হীন কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। তাদের মনে সাহস থাকলে নিজের নামে ব্যবহৃত আইডি থেকে প্রচার করুক। তাহলে বুঝবে ভুয়া তথ্য প্রচারের কি ফল পাওয়া যায়’।

সম্প্রতি মাগুরার একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে একটি তথ্য ফেইসবুকে দেখা যাচ্ছে। যার কোন প্রমাণ প্রচারকারীরা দেয়নি। অবশ্য ওই নেতার পক্ষের ব্যক্তিরা প্রতিবাদও দিয়েছেন। এ ঘটনায় অনেকগুলো ফেক আইডিগুলো সনাক্তের কাজ করছে নেতার পক্ষের লোকজন ও প্রশাসন। এনিয়ে দেশে থাকা ফেক আইডি ব্যবহারকারী ও বিদেশে থাকা ব্যবহারকারীদের স্বজনদের বেকায়দায় পড়তে হবে।

সচেতন মহল জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভালো কিছু প্রচার করা যায়। কোন ভাবেই যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভুয়া তথ্য ফেইসবুকে দেয়া ঠিক নয়। এতে যার বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে-তার সম্মানহানি ঘটে। কারণ-কিছু লোক ভুয়া তথ্য দেখেই বিশ্বাস করে। এজন্য সকলের উচিত সব ধরনের ভুয়া তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকা। এতে করে থাকবে না কোন হানাহানি এবং হিংসা-বিবাদ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ‘সোনার বাংলাদেশ’ হিসেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.