শালিখার ইউএনওর বিরুদ্ধে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ

শালিখা

মাগুরা সংবাদ:

মাগুরার শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতার তদন্ত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা সদর আড়পাড়া ডাকবাংলো হল রুমে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তদন্ত করেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দ রবিউল ইসলাম। এই সময়ে তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাহাবুবুর রহমান উপপরিচালক স্থানীয় সরকার মাগুরা। অভিযোগ পত্র অনুযায়ী জানা যায়, গত ২৪ জুন তারিখে শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এবং বদলি প্রসঙ্গে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ পত্র প্রেরণ করেন। এতে বদলী পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় এমপি

মাগুরা-২ ড. শ্রী বীরেন শিকদার ওই আবেদনে সুপারিশ করেন। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের না জানিয়ে গ্রাম পুলিশ বা চৌকিদারদের দিয়ে বয়স্ক ভাতা, “জমি আছে ঘর নাই” প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উপকার ভোগির তালিকা তৈরি করেছেন। চেয়ারম্যান মেম্বরদের সাথে খারাপ আচারন ও মান হানিকর মন্তব্য করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর রহমান। কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমনের শুরুতে জনপ্রতিনিধিদের সাথে কোন পরামর্শ ছাড়াই সেচ্ছাসেবক গঠনের নামে নিজের পছন্দের লোক দিয়ে সেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ মোঃ জহির রায়হান একই উপজেলার কাতলী গ্রামের বাসিন্দা এবং ঘৃন্য রাজাকারের সন্তান বলে জানা যায়। তাকে দিয়ে

বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগে জানা যায়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। শালিখা বাসীকে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে মন্তব্য করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়াও ভুয়া বিলভাউচারের মাধ্যমে বিল উত্তোলন, ওভারল্যাপিং এর মাধ্যমে পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের বিল উত্তোলন এবং নির্বাহী কর্মকর্তার সেচ্ছাচারির সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করলেই তিনি নানা উপায়ে হয়রানী,হুমকী ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগকারী চেয়ারম্যানগন জানান। ফলে বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় শালিখা আড়পাড়া ডাকবাংলো হল রুমে অভিযোগকারী চেয়্যারম্যানগন ও উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে তদন্ত করেন। ইউপি চেয়ারম্যান শ্রী বিমলেন্দু শিকদার, মোঃ আরজ আলী বিশ্বাস,মোঃ বক্তিয়ার উদ্দিন লস্কর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম, মহিলা ভাইস্ চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার শাবানাসহ অভিযোগকারী চেয়ারম্যানগন বলেন আমাদের একটাই দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আইনগত শাস্তি ও বদলীর দাবি জানাই। অন্যথায় গন আন্দোলন শুরু হবে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক অভিযোগ আনা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার সৈয়দ রবিউল ইসলাম এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগের বিষয়ে শালিখায় এসে অভিযোগকারী চেয়ারম্যানদের ডেকে পর্যায়ক্রমে অভিযোগ শুনেছি। তাদের সাথে মতবিনিময়ও

করেছি। পরবর্তীতে যেকোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.