মাগুরা সংবাদঃ
সারাদেশ থেকে ফুঁসলিয়ে তরুণীদের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এনে বিক্রির অবৈধ কাজে জড়িত পেশাদার নারীপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাচার হয়ে আসা দুই তরুণী শুক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তার মানবপাচারকারীর নাম পারভেজ শেখ (২৮)। তিনি মাগুরা সদর উপজেলা বিষ্ণপুর গ্রামের তাইজুল শেখের ছেলে।
পাচার হয়ে আসা ১৯ বছর বয়সি তরুণী জানান, তিনি ঢাকার সেঞ্চুরি গার্মেন্টে কাজ করতেন। আটক পারভেজ ও পলাতক সেলিম একই গার্মেন্টে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। বিদেশি সংস্থায় ভালো বেতনে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে পারভেজ ও সেলিম তাকে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে মোটা অঙ্কের টাকায় রূপা বাড়িওয়ালীর কাছে বিক্রি করে। এরপর থেকে রূপা বাড়িওয়ালী তাকে দিয়ে জোরপূর্বক যৌনপেশায় বাধ্য করে। অপরজন ৩১ বছর বয়সি নারী জানান, তিনি ঢাকার আল্টিমেট গার্মেন্টে কাজ করার সময় পরিচয় হয় পারভেজ ও সেলিমের সঙ্গে। তাকেও ভালো বেতনে কাজ দেওয়ার কথা বলে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর বিক্রি করে। এরপর থেকে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানো হয়।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, পারভেজ একজন পেশাদার নারীপাচারকারী। শুক্রবার বিকালে পারভেজ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এলে তার মাধ্যমে পাচার হয়ে আসা দুই নারী তাকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পারভেজকে গ্রেপ্তার করে।