মাগুরা সংবাদঃ
প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। কথিত প্রেমিকসহ তার ৫ বন্ধু মধুমতি নদীর চরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে বুধবার নিজে বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে ওই কিশোরী। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ এ মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.শহিদুল ইসলাম জানান, বোয়ালমারীর পাশে মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রামের নাসির মোল্লার (২০) সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে প্রেমিক নাসির দেখা করতে এসে কিশোরীটিকে মধুমতি নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক নাসির সহ তার আরো তিন বন্ধু বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের তারক মন্ডল (১৯), সৈকত মন্ডল (১৮), নাসির (৩০) ও দশম শ্রেণির এক ছাত্র (১৬) পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. সাহিদুল ইসলাম বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ওই কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বুধবার দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়ে দেন।
বোয়ালমারী থানার পুলিশ বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের তারকমন্ডল, সৈকত মন্ডল ও নাসিরকে গ্রেফতার করেছে। তবে মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রামের নাসির মোল্লা পলাতক রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আমিনুর রহমান মাগুরা সংবাদকে বলেন, খবর পেয়েই পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
