শারদীয় দুর্গাপূজা,এবার শালিখায় ১৫২টি মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

শালিখা

মাগুরা সংবাদঃ

শহিদুজ্জামান চাঁদ,শালিখা,মাগুরা:

মাগুরার শালিখায় ১৫২টি পূঁজা মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আর কয় একদিন পরেই অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনায় শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে অবতরন করবেন হিন্দু সস্প্রদায়ের দূর্গা দূর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গা। সে উপলক্ষে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হিন্দু পাড়ার প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা রঙতুলির কাজ। যেন দম ফেলার সময় নেই প্রতিমা তৈরির ভাস্কার দের। তবে আয়োজকদের প্রত্যাশা এ বছর পূঁজার আয়োজন যেন জাকজমকপূর্ণ হয়। গতকাল রবিবার উপজেলার আড়পাড়া কালী মন্দির, পারশ ঠাকুরের আশ্রম দূর্গা মন্দির,আড়পাড়া কর্মকার পাড়া দূর্গা মন্দিও,পূর্বপাড়া দূর্গা মন্দিও,বরইচারা বিশ্বাস বাড়ী দূর্গা মন্দির,মন্ডল বাড়ী দূর্গা মন্দির,হরিশপুর মাতৃ মন্দির,পাঁচকাহুনিয়া দূর্গা মন্দির,দরিশলই দূর্গা মন্দির,ধনেশ্বরগাতি বটতলা বাজার দূর্গা মন্দিও,তালখড়ি দূর্গা মন্দির,সিংড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির,শতখালী সার্বজনীন মন্দির দূর্গা মন্দির,শালিখা দূর্গা মন্দির,বুনাগাতি সার্বজনীন দূর্গা মন্দির,গঙ্গারামপুর সার্বজনীন ও দূর্গা মন্দিও,থৈপাড়া দূর্গা মন্দির,বাহির মল্লিকা দূর্গা মন্দির,হাটবাড়ীয়া দূর্গা মন্দির,বাকলবাড়ীয়া দূর্গা মন্দির ভাটোয়াইল দরিলক্ষীপুর দূর্গা মন্দির,গোবিন্দপুর দূর্গা মন্দির,বরইচারা সার্বজনীন দূর্গা মন্দির,কৃষ্ণপুর মন্ডলবাড়ী দূর্গা মন্দিরসহ বেশ কিছু সার্বজনীন দূর্গা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মন্দিরেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আবার কিছু কিছু মন্দিরে এখনও চলছে শিল্পীদের রঙের কাজ। হিন্দু ধর্মালম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। পূজা উৎসবের আমেজে হিন্দু পাড়াগুলোতে চলছে সাজ সাজ রব। এবছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মধ্যে ধনেশ্বরগাতী ১৮ টি,তালখড়ি ২৩টি,আড়পাড়া ২৯টি,শতখালী ১১টি,বুনাগাতি ৩৯টি ও গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে ২১টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শালিখা উপজেলাতে এ বছর মোট ১৫৪টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন শালিখা উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু সিতান চন্দ্র বিশ্বাস ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু বিমল কৃষ্ণ দাস। উপজেলার বিভিন্ন পূঁজা মন্ডপের প্রতিমা তৈরির কারিগররা জানান, বছরের এই সময়টা ব্যাস্ততা পার করলেও অন্য সময় তাদের হাতে তেমন কোন কাজ থাকেনা। অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করতে হয় তাদের। এ ব্যাপারে শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ তরীকুল ইসলাম জানান, পূঁজা শুরু থেকেই নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, গ্রামে গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পূঁজা মন্ডপের নিরাপত্তার জন্য আনসার বাহিনী দেওয়া হবে। যে সমস্থ মন্দির এলাকায় বিরোধ ছিল সেই সমস্থ স্থান চিন্নিত করে থানায় ডেকে সকল বিরোধ নিস্পত্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যাতে করে উপজেলার সকল ইউনিয়নে শারদীয় দূর্গা পুঁজা উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ তানভীর রহমান জানান হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূঁজা উপলক্ষে সরকার কর্তৃক সকল সুযোগ সুভিদা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.