মাগুরায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিশু শ্রমিক দিয়ে চলছে ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান

মাগুরা সদর

মাগুরা সংবাদঃ

শহিদুজ্জামান চাঁদ ,মাগুরাঃ

মাগুরা সদর উপজেলার শেষ প্রান্তে মাগুরা- যশোর মহাসড়কের পাসেই কেচুয়াডুবী নামক স্থানে আইনের চোখে ধুলা দিয়ে কয়েক জন শিশু শ্রমিক দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সোয়াইব নামের একটি ভুঁইফোড় বেকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছর যাবৎ কোন প্রকার লাইসেন্স কিংবা অনুমোদিত কাগজ পত্র ছাড়াই বহুল জনবসতি পূর্ন স্থানে প্রকাশ্যে গড়ে উঠাই এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। গতকাল(২২সেপ্টেম্বর) রবিবার সরেজমিনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কোন প্রকার সাইনবোর্ড পাওয়া না গেলেও প্রতিষ্ঠানের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন শিশু শ্রমিক দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পারুটি,বিস্কুট,কেক,লাড্ডু ,দোস্ট,সহ কমলমতি শিশুদের পছন্দনীয় পাসফুড জাতিয় খাবার তৈরী করা হচ্ছে। এসব পাসফুড জাতিয় খাবার নিয়মিত মাগুরার সদর সহ শালিখা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে হকার দ্বারা পাইকারী ও খুচরা বিকিকিনি করে চলেছে। যা প্যাকেটের গায়ে কোন প্রকার বিএসটি আই অনুমোদিত সিল বা স্টিকার পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে শিশু শ্রমিক সাবিক(৮) জানাই আমার বাড়ী খুলনা,আমাকে মালিক প্রতিদিন ১৩০ টাকা করে বেতন দেন,অপর শিশু শ্রমিক রমজান আলী(৭) বলে আমার বাড়ী আলোকদিয়া গ্রামে, আমি নতুন এসেছি তাই মালিক আমাকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে বেতন দেয়। অথচ আইন অনুযায়ী কোন শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো যাবেনা। এব্যাপারে সোয়াইব বেকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ বাকারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমার প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজ পত্র নেই,শুধু ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ও স্যানিটিশন পত্র আছে। তবে তিনি মুখে বললেও প্রকৃত ভাবে কোন কাগজ পত্র সাংবাদিকদের দেখাননি। মোট কত জন শ্রমিক কাজ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১০/১২ জন শ্রমিক কাজ করে এখানে। তবে প্রায় প্রতি মাসেই শ্রমিক বদল করা হয়। শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন কেন বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন তাতে কি হয়েছে, এটা সম্পূর্ন আমার ব্যাপার আপনাদেরকি। প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ছাড়াই হাওয়ায়ে রাস্তার পাশে ধুলাবালির মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোন প্রকার কাগজ পত্র ছাড়াই এই প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন কি ভাবে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশপাসের কয়েকজন ব্যক্তি জানান প্রতিষ্ঠানের মালিকের হাত অনেক লম্বা। হাত লম্বা কিভাবে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন ভাই তার প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজ পত্র নেই এটা সত্যি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এটাও ঠিক। কিন্তু এখানে কয়েকবার ইউএনও এবং ম্যাজিষ্ট্রেট এসেছেন। তাঁরা উনার কোন কিছু করতে পারেননি। এ ব্যপারে মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সুফিয়ান এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন এমন কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোয়াইব বেকারী নামের ঐ ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.