শালিখা সীমাখালী বাজারের রাস্তার বেহাল দশা-যেন দেখার কেউ নেই

শালিখা

মাগুরা সংবাদঃ

শহিদুজ্জামান চাদঁ,শালিখা(মাগুরা):

মাগুরার শালিখার সীমাখালী-নারিকেলবাড়ীয়া রাস্তাটির সীমাখালী বাজারের মধ্যের অংশসহ প্রায় ৪ কিলোঃ রাস্তা ভেঙ্গেচুরে নষ্ট হয়ে যাওয়াই চলাচলের সম্পুর্ন অযোগ্য হয়ে রয়েছে। এতে জনগনের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের সম্পুর্ন অনুপযোগী হওয়াই জনদুর্ভোগ চরমে পৌছে গেছে। সীমাখালী বাজারের মধ্যের এইরাস্তাটির দুই ধারে অন্ততঃ শতাধিক দোকানপাটের ব্যাবসা বানিজ্যেও ধস নেমেছে। বৃষ্টি হলে হাটু সমান কাদাঁ জমে গাড়ী ঘোড়া তথা মানুষজনের চলাচলের কোন কায়দা থাকে না। একটু শুকনায় খানা খন্দের কারনে চলাচল বড় দায়। বছর বছর দোকানদারগন করিমন,নছিমন,ইজিবাইক,ভ্যানচালকেরা মিলে ইটভাটার টুকরো ইটেরঘ্যাস কিনে রাস্তায় দিয়েও কোন রক্ষা পাচ্ছে না।২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারী চিত্রা নদীর উপর ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে জনগুরুত্বপুর্ন সীমাখালীর এইব্রীজটি দির্ঘদিন ভেঙ্গে পড়ে থাকার কারনে সকল পরিবহন ও বিভিন্ন যানবাহন সীমাখালী বাজারের এই রাস্তাটি অবলম্বন করে বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়ীয়া ব্রিজ পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়েছিল। ঐ সময় ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে শালিখা ও বাঘারপাড়ার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাগুলো চলার একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর ঐ সালের ঈদের আগে চিত্রার উপর বেইলী ব্রিজ তৈরী হলে গাড়ী চলাচল শুরু করে। এরপর পাশর্^বর্তী রাস্তা গুলো প্রানে বেচেঁ যায়। তবে ভগ্নদেহ নিয়ে রাস্তাগুলো মানবসেবায় আর ফিরে আসতে পারেনি। ঢাকা- কলকাতা তথা যশোর মাগুরা মহা সড়কের পাশে শালিখা উপজেলার বৃহত্তম এই সীমাখালী বাজার। এই বাজারকে কেন্দ্র করে আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখানে একটি মডেল সরকারি প্রাইমারী স্কুল,কলেজিয়েট হাইস্কুল,৮/১০টি এনজিও প্রতিষ্ঠান,৩/৪টি বৃহৎ শিল্পকলকারখানা,বিভিন্ন ধরনের কাঠের শিল্প কারখানা,বৃহৎ গোহাট, ৩ টি ব্যাংক, ধান পাট শস্য মসুরী প্রভৃতি ভুষি মালের আড়ৎ,কাচাঁ বাজার, বিভিন্ন ধরনের কাচাঁপাকা ফলের মোকামও রয়েছে এই সীমাখালী বাজারে। দুরপাল্লার গাড়ীর অন্তত ১০টি পরিবহন কাউন্টার রয়েছে এখানে। নড়াইল,কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ ও বাঘারপাড়ার বিভিন্ন অঞ্চলের অগনিত লোকের যাতায়াত এই সীমাখালীর উপর দিয়ে। যশোর-খাজুরা-মাগুরার মালিক সমিতির ৮৪টি টিপ গাড়ী এই সীমাখালীর উপর দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করে। অন্তত ৩০টি কোম্পানীর পরিবহন গাড়ী এই সীমাখালীর উপর দিয়েই চলাচল করে। পরিতাপের বিষয় এত গুরুত্বপুর্ন যাতায়াতের কেন্দ্রস্থল এই সীমাখালী বাজার হওয়া সত্বেও রাস্তাঘাট গুলো দেখার যেন কেউ নেই। অচিরেই এ রাস্তাঘাট সংস্কার করে জনগনের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জনগনের একান্ত দাবী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.