মাগুরা,ঝিনাইদহ,কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় নদী সুরক্ষায় নদীর উৎসমুখ খুলে দেয়ার দাবি

বাংলাদেশ মাগুরা সদর

মাগুরা সংবাদঃ

 

জিকে (গঙ্গা কপোতাক্ষ) প্রকল্প অঞ্চলের (কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা) নদী সুরক্ষায় নদীর উৎসমুখ খুলে দেবার দাবি জানিয়েছে নদী সুরক্ষা গবেষণা ও জনসচেতনতামূলক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল বাংলাদেশ’। একই সাথে নদী ও জিকে ক্যানেলের সংযোগস্থলে দ্বৈতপ্রবাহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘টাইফুন’ ব্যবস্থার দাবি জানায় সংগঠনটি। ইবি ইউনিটের আয়োজনে বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে টিএসসিসির প্রেস কর্ণারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি করেন সংগঠনটির সদস্যরা।

ইবি ইউনিটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও রিভারাইন পিপলের কেন্দ্রীয় পরিচালক আলতাফ হোসেন রাসেল।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। কিন্তু নদীর ম্যাপের সাথে জিকে প্রকল্পের ম্যাপের দিকে তাকালে একটি ভয়াবহ দৃশ্য চোখে পড়বে। এই প্রকল্পে মাধ্যমেই এ অঞ্চলে নদী দখল শুরু হয়েছে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গঙ্গা-গড়াই থেকে উৎপন্ন হওয়া আটটি নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীর নাব্যতা ফেরাতে উৎসমুখ খুলে দিতে হবে; প্রয়োজনে খনন কাজ করতে হবে।

বক্তারা বলেন, জিকে প্রকল্পকে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য অনিবার্য করে তোলা হয়েছে। যদিও প্রকল্পটি এখনই প্রয়োজনীয় মাত্রার পানি সরবারহ করতে পারছে না। ইতোমধ্যেই এই প্রকল্পের মূল তিনটি পাম্পের দুটি বন্ধ রয়েছে। একটি পাম্প দিয়েই চার জেলায় পানি সরবারহ চলছে। ফলে আগামীতে এই প্রকল্প থেকে পানি পাওয়াই সম্ভব হবে না। যার ফলে, এই প্রকল্প নদীগুলোকে হত্যা করে নিজেই একসময় আত্মহত্যা করবে। তবে আমরা এখনই বলছিনা জিকে প্রকল্পের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যেখানেই নদীর সাথে ক্যানেলের ক্রসিং হয়েছে সেখাইে সাইফুনের মাধ্যমে নদীকে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট সীমানাকে সরকারীভাবে ‘মরা নদী’ ঘোষণা, উৎসমুখে গেইট তৈরি, নদীর অভ্যন্তরে পুলিশ ফাঁড়িসহ সরকারী স্থাপনা ও দখলবাজদের উৎপাতের সমালাচনা করেন বক্তারা। এসময় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোকে বাঁচাতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রিভারাইন পিপল ইবি ইউনিটের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার অধিকারী, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ওবাইদুল হক, কুমার নদ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লা মারুফ, ইবিসাসের সভাপতি ইমরান শুভ্রসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও রিভারাইন পিপলের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.