শালিখায় প্রভাবশালিদের দখলে বারাঙ্গার খাল-হুমকীর মধ্যে ফসলি জমি ও বসত বাড়ী

শালিখা

মাগুরা সংবাদঃ

শহিদুজ্জামান চাঁদ,শালিখা,মাগুরাঃ
মাগুরার শালিখা উপজেলার ২নং তালখড়ি ইউনিয়নের চতিয়ার ব্রীজ থেকে সেওজগাতী,উজগ্রাম টিওরখালী হয়ে ফটকী নদীতে পতিত হয়েছে বারাঙ্গার খাল ৷ দীর্ঘ ১০ কিঃ মিঃ খালের প্রায় ৮ কিঃমিটারই এলাকার প্রভাবশালিদের দখলে রয়েছে ৷ দীর্ঘ দিন যাবৎ এই খাল দখল করে তারা বেড়ীবাঁধ তৈরী করে নিয়েছে ৷ এসব প্রভাবশালিদের ভয়ে এলাকার সচেতন মহল মুখ খুলতে সাহস পায়না৷ বছরের পর বছর সরকারি এই খাল দখল থাকলেও প্রশাসনিক ভাবে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন ৷ ফলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও কয়েকটি গ্রামের বসত বাড়ী হুমকীর মধ্যে পড়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন প্রকার পদক্ষেপ নেননি সংস্লিষ্ট কর্তপক্ষ ৷ এ ব্যাপারে ফটকী বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের রূপকার শ্রী ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, আশির দশকে এ ঞ্চলকে বন্যার কবল থেকে বাচাঁতে খালটি খনন করা হয় ৷ তার পর কোন ভুমি জরিপ না হওয়ায় খালটি ম্যাপে নেই ৷ সেই ওজু হাতে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালিরা দখল করে নিয়েছে ৷ তবে চতিয়ার ব্রীজ থেকে বারাঙ্গা শ্বশ্বান পর্যন্ত খালের ওস্তিত্ব রয়েছে ৷ সেওজগাতী আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন বিশ্বাস বলেন,খালটি দিয়ে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ থেকে নেমে আশা পানি মহেশপুর-কালিগঞ্জ হয়ে ফটকী ও চিত্রা নদীতে এসে নামে ৷ খালটি খনন করা খুবই জরুরি ৷ একই সাথে সেওজগাতী ও টিওরখালীর রাস্তার উপর নির্মিত ব্রীজ দুইটি অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত হয়েছে ৷ যা প্রশস্থ না করলে খাল কেটেও বন্যা সমস্যার সমাধান হবে না ৷ পরিবেশ আন্দোলনের নেতা অধ্যক্ষ মোঃ নওয়াব আলী মাগুরা সংবাদদাতাকে জানান, খালটি কাটা হলে খালের দুই পাশের ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদন হবে ৷ ৷ যা এলাকার খাদ্যের চাহিদা পুরুন হবে এবং খালের পানির উৎপাদিত মাছ এলাকার আমিষের চাহিদা পুরুন করবে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published.