মাগুরা সংবাদ :
কেউ বলে তালের শাস, কেউ বলে তালের কুই, কেউ বলে তালের আটি। গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালের শাস অনেক উপকারী। এর রয়েছে অনেক গুণাগুণ। তাই জ্যৈষ্ঠর এ মধু মাসে বাজারে নানা ফল উঠলেও মাগুরায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালের শাঁস।
গ্রীস্মের এই দিনে মাগুরাতে তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। তাই সবার হাতে পোঁছে যায় কঁচি তালের শাঁস। বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে।
জেলার বিভিন্ন পল্লি এলাকায় তাল গাছ রয়েছে। তাবে কৃষি বিভাগে এর কোনো পরিসংখ্যান নেই। তালের শাঁস অতি সু স্বাদু হওয়ায় সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে তালের শাঁস একটি জনপ্রিয় ফল।
অনেকে জানান, তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। গরম থেকে এসে তালের শাঁস খেতে ভালই লাগে। ফলে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে তাল গাছ এক পায়ে দাড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে উকি মারে আকাশে, কবির সে কবিতার মতো সারি সারি তাল গাছ রাস্তার দুধারে এমন দৃশ্য আর চোখে পড়েনা। কালের বিবর্তনে মাগুরার পল্লি অঞ্চলের তাল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকজন কৃষক মাগুরা সংবাদকে জানান, এক সময় মানুষ সখ করে বাড়ির পাশে কিংবা রাস্তার ধারে তালের বীচ বোপন করতো। গাছ থেকে তাল পারা খুব কষ্টকর কাজ হওয়ায় মাঝে তালগাছ বপন কমে গেছে।
তালের শাঁসের পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে একজন ডাক্তার বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ, বিকমপ্লেক্সসহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।