মাগুরায় ১০ হাজার টাকার সুদ লাখ লাখ টাকা, অবশেষে সুব্রতের আত্মহত্যা

মাগুরা সদর

মাগুরা সংবাদঃ

মতিন রহমান : সুদের টাকা দিতে না পারায় সুব্রত প্রামাণিক (৩৬) নামের এক তরকারি ব্যবসায়ী মারা গেছে। সে মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের রামদেরগাতি গ্রামের মৃত শিবু প্রামাণিকের ছেলে।

পরিবারের অভিযোগ, সুব্রত প্রায় চার বছর আগে অভাবের সংসার চালাতে নায়েব আলী (৪২) নামের এক সুদে টাকা কারবারীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। এরপর থেকে আসল ১০ হাজার টাকার সুদ গুনতে থাকে সুব্রত। উক্ত সুদের টাকার বিনিময়ে এপর্যন্ত নায়েবকে সুদ দিতে হয়েছে লাখ লাখ টাকা। এমনকি তার ভিটা বাড়িতে থাকা ৬ শতাংশ জায়গা থেকে ৪ শতাংশ জায়গা পর্যন্ত লিখে নেয় নায়েব।

জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সকালে নায়েব সুব্রতর বাড়িতে সুদের টাকা আনতে যায়। টাকা দিতে না পারায় বিষ পান করে সুব্রত। এসময় নায়েব আর সুব্রত ছাড়া কেউ সেখানে ছিলো না। বিষপান করার খবর দিয়ে পালিয়ে যায় নায়েব। পরিবারের লোকেরা তার বাড়ির পাশে থাকা নারায়ন প্রামানিকের বাঁশ বাগানের পুকুর পাড় থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসলে মারা যায় সে।

সুদখোর নায়েব আলী মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের সংকোচখালী গ্রামের মৃত ময়েন মোল্লার ছেলে। সে বর্তমানে উক্ত ইউনিয়নের গোয়ালবাথান বাজার সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করে।

সুব্রতর পরিবারের ও স্থানীয়দের অভিযোগ সুদখোর নায়েব আলী সুব্রতকে বিষপান করায়। এটা আসলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ।

এই ঘটনায় নায়েব আলীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক। এ বিষয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আহসান ও স্থানীয় শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক জাফরউল্লাহ বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্ত নায়েব আলীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে উক্ত ঘটনায় এলাকাবাসী ও তার পরিবার আইনগতভাবে সুদখোর নায়েব আলীর কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন। সুব্রত প্রামাণিকের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার তার বাড়িতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.