ফেসে যাচ্ছে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসিফুর রহমান

মহম্মদপুর

মাগুরা সংবাদঃ

মাগুরার মহম্মদপুরে অবৈধ অর্থ আদায় ও দোকান বরাদ্দে অনিয়ম করায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. জাকির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসিফুর রহমান বুধবার (৩ এপ্রিল) বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নামে অবৈধ অর্থ আদায়, ভূল বুঝিয়ে তার স্বাক্ষর গ্রহণ এবং বেআইনিভাবে যত্রতত্র উপজেলা পরিষদের জায়গা বরাদ্দ প্রদান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ১৯৮৫ এর ডি ধারামতে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসিফুর রহমান দায়িত্বশীল এমন একটি জায়গায় থেকে কিভাবে তাকে ভুল বুঝিয়ে এই অনিয়ম করা হল সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার কথা বললেন
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম সাগর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, উপজেলা পরিষদের অনুকূলে সকল প্রকার আর্থিক বরাদ্দ, রাজস্ব তহবিলের আয় ব্যয়, বাসা বাড়ি হতে আয় ব্যয়, মার্কেট হতে আয় ব্যয়সহ সকল প্রকার অর্থনৈতিক বিষয়ের দায়-দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের। ফলে সকল ফাইলপত্র অডিটের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসে সংরক্ষিত থাকার কথা। কিন্তু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. জাকির হোসেন তার বাড়ি মহম্মদপুর উপজেলায় হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজ হেফাজতে নিয়ে বেআইনি, অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজকর্ম করে চলেছে। জাকির হোসেন তার ইচ্ছামত কাগজপত্র তৈরী করে নির্বাহী অফিসারের সরল বিশ^াসের সাথে প্রতারণা করে ভূল বুঝিয়ে তার স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে এবং উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় দোকানঘর বরাদ্দ প্রদান করেছে। তাকে না জানিয়ে তার স্বাক্ষরের উপর অনুমোদিত সীল ব্যবহার করেছে। এ বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। যত্রতত্র উপজেলা পরিষদের জায়গায় ঘর নির্মান করেছে। এ বিষয় তার গোচরে আসার পর নিষেধ করা স্বত্তেও তার নাম ভাঙিয়ে অর্থ আদায় করেছে এবং জাকির হোসেনের ইঙ্গিতে পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনা নির্মান হচ্ছে।

এ বিষয়ে মো. জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিষদের জায়গা বরাদ্দ আমি দেইনি। এগুলোর দায়িত্ব আমার না। উপজেলা পরিষদ মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। উনারা দিয়েছেন আমি শুধু প্রিন্ট করে দিয়েছি। এ ছাড়া আমার কোন ক্ষমতা নেই। আর সরল বিশ^াসের প্রতারণা আমি করিনি। আমার কাজ তাদের অর্ডার ফলো করা ।

আমি শুধু উপজেলা চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী অফিসের নির্দেশ ফলো করেছি। ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করার কোন প্রশ্নই ওঠে না। আর যে সকল ফাইলপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসে সংরক্ষিত থাকবে তা আমার কাছে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.