মহম্মদপুরবাসীরা চরম অবহেলায়, রাস্তাগুলো ক্ষত বিক্ষত:মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)

মহম্মদপুর সম্পাদকীয়

মাগুরা সংবাদঃ

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মহম্মদপুরবাসীরা চরম অবহেলায় আছেন বলে জানান,মাগুরা জেলার শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল মাগুরা সংবাদের সম্পাদক এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি (মানবাধিকার সংস্থার) চেয়ারম্যান মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবারীয়া ইউনিয়নের মৌফুলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা  মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) । তিনি বলেন মহম্মদপুর উপজেলার প্রধান রাস্তাগুলো যেন ক্ষত বিক্ষত রয়েছে।মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার সড়কগুলো যেন সড়ক নয়, যেন হালচাষ করার ক্ষেত। বড় বড় খানাখন্দ ও ধুলা-বালিতে সয়লাব। মরণফাঁদ বললেও অত্যুক্তি হবে না। তবু এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলছে শত শত যানবাহন। উদাহরণস্বরূপ এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিচ্ছে দু-তিন ঘণ্টায়। মাঝে মধ্যে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে চলছে এমন অবস্থা। কিন্তু সড়কগুলো সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এ সড়কটির যেন কোনো কর্তৃপক্ষই নেই! সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে, দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি মহম্মদপুরবাসীর। স্থানীয়রা জানান, উন্নয়নের প্রথম ছোঁয়ার শর্ত হচ্ছে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন। অথচ উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি ১৯৮৪ সালে জেলার মর্যাদা পাওয়া মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা। স্থানীয়দের পাশাপাশি যারা এলাকায় বেড়াতে আসেন তারাই জানেন দুর্ভোগ কাকে বলে।মহম্মদপুর উপজেলার প্রধান সড়কগুলোতে বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় চালকসহ যাত্রীদের। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত ধূলা-বালির কারণে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয়রা। মহম্মদপুর উপজেলার প্রধান ২ টি সড়ক বিনোদপুর সড়ক থেকে ধোয়াইল সড়ক ও মহম্মদপুর উপজেলা থেকে মহম্মদপুর উপজেলার শেষ প্রান্ত লড়াইল জেলার লোহাগাড়া ঊপোজেলার প্রায় কালিকঞ্জ বাজার পর্যন্ত  সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। তার বলেন, নিরুপায় হয়ে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। একদিন গেলে আরেক দিন যেতে ইচ্ছা করে না। এক ঘণ্টার রাস্তা দুই ঘণ্টায়ও শেষ হয় না। সোশাল মিডিয়ায় অনেকে জানান বর্তমানে আমাদের এলাকার মতো এমন বেহাল রাস্তা মনে হয় আর কোথাও নেই। বর্ষায় কাঁদা, শুকনো মৌসুমে ধুলায় পরিপূর্ণ থাকে রাস্তাগুলো। ফলে বছরজুড়ে এ অঞ্চলের মানুষ এ রাস্তার জন্য ভোগান্তিতে পড়ে। যানবাহন চালকরা বলেন , ‘এত গর্ত যে বাসের গতি তুলন যায় না। এখন গাড়িতে আমাদের খরচ বাইড়া গেছে। গাড়ি একটা গর্ত থাইক্যা উডাইতে যে সময় লাগে, এ গতিতেই প্রায় সারা রাস্তা যাইতে অয়। এ রাস্তায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন রুগীরা। বিশেষ করে গভবর্তী নারীদের এ পথ দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয়। জেলা শহরের সঙ্গে আঞ্চলিক সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করার আশ্বাস দেয়া হলেও এখনপর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। শুধু আশ্বাস নয়, সমস্যা সমাধানে প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা ভুক্তভোগীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.