ঢাকা মুগদায় এনজিও’র নামে ‘চিটারি’ দোষ ঢাকতে মাগুরার ইকবালের উপর দোষারোপের অভিযোগ

অপরাধ মহম্মদপুর

মাগুরা সংবাদঃ

উপরের ছবি দুটি হিউম্যান কেয়ার ইনিশিয়্যাটিভসের অর্থ সচিব প্রতারক মোঃ আলমগীর ভুঁইয়া ও সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য মিসেস রাশেদা আক্তার মিলির 

হিউম্যান কেয়ার ইনিশিয়্যাটিভস নামের একটি এনজিও সংস্থা ১২৫, উত্তর মুগদা, ঢাকা -এলাকায় অবস্থান নিয়ে সহজশর্তে লোন প্রদানের কথা বলে সাধারন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সদস্যরা তাদের গচ্ছিত টাকা চাইতে গেলেই এনজিও’র প্রভাবশালী কর্মকর্তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলে জানা যায়। টাকা হারানোর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসটুকুও পাচ্ছেনা। এতে করে দিশেহারা হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগী সদস্যরা।এ অবস্থায় এনজিও’র প্রতারনার শিকার নিরীহ ও ভুক্তভোগী সদস্যরা নিঃশ হয়ে পড়েছেন। প্রকাশ্যে তারা প্রতিবাদও করতে পারছেননা। তারা তাদের গচ্ছিত টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। পাশাপাশি হিউম্যান কেয়ার ইনিশিয়্যাটিভস  এর অর্থ সচিবপদ সহ ৩টি পদে থাকা প্রতারক মোঃ আলমগীর ভুঁইয়া ,সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য মিসেস রাশেদা আক্তার মিলিসহ এনজিও কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।জানা যায়, সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য মিসেস রাশেদা আক্তার মিলি ঢাকা মুগদায় মান্ডা সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করারা পরো এই সংস্থায় নিযুক্ত হন। এ বিষয়ে সংস্থাটির মহাসচিব এস,এম,ইকবাল হোসেন জানান আমার কাছে প্রথম থেকেই তাদের কার্যকলাপ সুবিধা মনে হয়নি ।কিন্তু তারা আমাকে নিয়োগের শুরু লগ্ন থেকে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রেখেছিল বলে আমি প্রতিবাদ করতে পারিনি।অবশেষে যখন তাদের কার্যকলাপ আর মেনে নিতে পারছিলাম না তখন সংস্থাটি থেকে চলে যাই।এরপরে জানতে পারি সংস্থাটি আস্তে আস্তে বিলীন হতে দেখে সদস্যরা গচ্ছিত টাকা ফেরত চাওয়া শুরু করে।কিন্তু তারা তাদের অনিয়মের কারনে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়।এরপরেই জানতে পারলাম আমি সংস্থাটির সাথে কাজ করার শুরু লগ্নে যে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছিলাম সেই স্ট্যাম্পকে কাজে লাগিয়ে সংস্থাটির অর্থ সচিব মোঃ আলমগীর ভুঁইয়া নিজ হাতে ষ্ট্যাম্পের ভিতরের বিষয়বস্তু লিখে আমাকে ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফেলেন।আমি হতবাক হয়ে গেছি যে,ব্যাংকের লেনদেনগুলো বেশীরভাগ সময়ে চেয়ারম্যান ও মোঃ আলমগীর ভুইয়ার দ্বারা সংগঠিত হত।তাহলে তারা কেন আমাকে দোষারোপের মধ্যে ফেললো।আর ৫০ লক্ষ টাকাতো একবারেই আত্মসাৎ করা যায়না।যার হিসাব প্রতিনিয়ত তাদের কাছে থাকত।তারা আমার বাড়িতে যখন তখন লোক পাঠিয়ে হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে।Human Care Initiatives নামে ফেসবুক আইডি খুলে আমার মাসুম শিশুটির সাথে থাকা ছবি আপলোড করে আজেবাজে কথা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।আমাকে নানা ভাবে সম্মানহানী সহ নানারকম ভয় ভীতি প্রদান করছে।আমার বাড়িতে গিয়ে যারা আমার পরিবার ও আমাকে হুমকি দেয়া সহ টাকা দাবি করেছে তাদের গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমি মুখোশ উম্মেচন করতে চাই।আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমি কামনা করছি।আমি ও আমার পরিবার সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।যারা আমার সাথে আমার ছোট মাসুম শিশুটির ছবি একসাথে ফেসবুক টাইমলাইনে আপলোড করে আজেবাজে কথা লিখতে পারে তারা কতটাই বিবেকবান মানুসিকতার হতে পারে,তারা আর কি কি করতে পারে আপনারাই বলুন।

এস,এম,ইকবাল হোসেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মান্দারবাড়ীয়া গ্রামের শরীফ মোঃ ছালেহ উদ্দিনের ছেলে। হিউম্যান কেয়ার ইনিশিয়্যাটিভসের অর্থ সচিব প্রতারক মোঃ আলমগীর ভুঁইয়া ও সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য মিসেস রাশেদা আক্তার মিলির গ্রামের বাড়ি ফেনি জেলায় বলে জানা যায়। 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.