মাগুরা সংবাদঃ
মাগুরার মহম্মদপুরের বালিদিয়া ইউনিয়নের নিখড়হাটা গ্রামের আব্দুল হামিদ মোল্যা (৮০) হারিয়ে যাওয়ার ৪৭ বছর পর ফিরে পেলেন তার আপন ঠিকানা। ব্রেইনের সমস্যার জন্য ১৯৭১ সালে তাকে নেওয়া হয় ফরিদপুরের আটরশি দরগাহ্ শরিফে। সেখান থেকে হারিয়ে যান তিনি। কোথায় কিভাবে কেটে গেছে কতটা সময় সেটা কেউ জানে না।
তবে গত ১৫ বছর আগে ফরিদপুর শহরে একটি সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হন আব্দুল হামিদ। সাধারন জনতা উদ্ধার করে চিকিৎসা করান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর এখানে কেটে যায় তার ১৫ টি বছর। গত সেপ্টেম্বর/১৮ মাসে নিখড়হাটা গ্রামের জনৈক ছাত্তার মোল্যা অসুস্থ্য হওয়ায় চিকিৎসা নিতে যান ফরিদপুর মেডিকেলে। আর সেখানেই দেখা হয় ঝাকড়া চুলওয়ালা আব্দুল হামিদের সাথে। সন্দেহ হওয়ায় তিনি বিভিন্ন লোকের কাছে তার পরিচয় জানতে চান। হাসপাতালে কর্মরত ব্যক্তিরা জানান, তিনি ১৫ বছর যাবৎ এই হাসপাতালেই সকলের প্রীয় মানুষ হয়ে এখাইে আছেন। তবে নাম “আব্দুল হামিদ” ছাড়া আর কিছু বলতে পারেন না।
ছাত্তার মোল্যা নিখড়হাটা গ্রামে বাদশা মোল্যার সাথে যোগাযোগ করেন। আব্দুল হামিদ ফরিদপুরে আছেন এমন খবরে তার প্রীয়জনরা ছুটে যান ফরিদপুর মেডিকেলে। গিয়ে দেখা যায় তিনিই আব্দুল হামিদ। গতকাল ৮ অক্টোবর তাকে আনা হয়েছে নিখড়হাটা গ্রামে তার আপন ঠিকানায়। একদিকে প্রীয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে প্রীয়জনকে ফিরে পাওয়ায় আনন্দে মাতয়ারা পরিবার সহ গ্রামের মানুষ। হারিয়ে যাওয়া আব্দুল হামিদকে একনজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভিড়।
আব্দুল হামিদ নিখড়হাটা গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মোল্যার ছেলে। তার দুটি কন্যা সন্তান আছে। হারিয়ে যাওয়ার পর স্ত্রী রিজিয়া বেগমের অন্যত্র বিয়ে হয়েছে। সে নিখড়হাটা গ্রামের বাদশা মোল্যা ও মৃত মান্নান মোল্যার বড় ভাই।