জীবন বদলে দেয়ার প্রযুক্তি ফাইভ-জি

তথ্যপ্রযুক্তি

ফাইভ-জির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মঙ্গলবার বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফের সঙ্গে এক বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বিআইজেএফ অফিসে অনুষ্ঠিত ওই সভায় মন্ত্রী বলেন, ‌‘জীবন বদলে দেয়ার প্রযুক্তি ফাইভ-জি। বাংলাদেশও বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে পথ চলবে।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে এখন বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০২০ সালে সারা পৃথিবী ফাইভ-জিতে প্রবেশ করবে। এ থেকে দেশকে পিছিয়ে থাকতে দেয়া যাবে না।’

উল্লেখ্য, থ্রি-জি ইন্টারনেটের যুগ প্রায় শেষের দিকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কাজ করছে ফোর-জি নিয়ে। তবে প্রযুক্তির দিক থেকে যে সকল দেশ আরও এগিয়ে আছে, সে সকল দেশে ফাইভজি নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই খাত সংশ্লিষ্ট সকলেই বলছেন এই দশকের শেষ দিকেই পুরোপুরিভাবে ফাইভ-জি চালু হয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পরবর্তী প্রজন্মের এই ওয়্যারলেস প্রযুক্তি দৈনন্দিন জীবন যাত্রাকে অনেকখানিই পাল্টে দেবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট সিটি ও নেটওয়ার্ক যুক্ত রোবট চালাতে ভূমিকা রাখবে ফাইভজি। এছাড়া ফাইভজির কল্যাণে আরও নিরাপদে গাড়ি চালানো যাবে। এর মাধ্যমে ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজ বা তাৎণিক বার্তার উত্তর দেওয়া যাবে আরও দ্রুত। আর এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো চিকিৎকেরা ফাইভ-জি ব্যবহার করে দূর থেকেই রোবটের মাধ্যমে সার্জারির মতো কাজও সম্পন্ন করতে পারবেন।

ফাইভজি প্রযুক্তিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ গিগাবিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত ডাটা ট্রান্সফার স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি যা ফোরজি’র তুলনায় এক হাজার গুন বেশি। ফাইভজি প্রযুক্তির মাঠে নকিয়া গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.