মাগুরা শ্রীপুরে প্রেমিককে ফাঁসাতে ধর্ষণ মামলা

শ্রীপুর

মাগুরা সংবাদ:
শ্রীপুর (মাগুরা)প্রতিনিধি:

মাগুরার শ্রীপুরে বিয়ের দাবিতে এক সপ্তাহ অনশনের পর বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকের নামে ধর্ষণ মামলা করেছে আলোচিত সেই প্রেমিকা৷ এছাড়া প্রেমিকের চাচাতো ভাই ও চাচাসহ তিন জনকে আসামী করে মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী বিয়ের দাবিতে প্রেমিক তোফাজ্জেলের বাড়িতে অনশন শুরু করে যশোর থেকে আসা ২ সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার মহুয়া। তিনি প্রেমিক তোফাজ্জেল বিশ্বাস বাড়িতে অবস্থান করলে ওইদিনই প্রেমিক তোফাজ্জেল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশের পাহারার ব্যবস্থা করে। বহুল আলোচিত এ ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রতিটি মিডিয়ায় তোফাজ্জেল বিশ্বাস পলাতক বলে প্রকাশ করে। সেদিন অন্তরঙ্গ কোন ছবি মিডিয়াকে দেখাতে পারেনি। এক সপ্তাহ অবস্থানের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই নারীকে কথিত দুলাভাই মির্জা নওরোজ হোসেনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ওই নারী বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে, প্রেমিককে ফাঁসাতে মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী ফাতেমা আক্তার মহুয়া মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রেমিক তোফাজ্জেল বলেন, এই মহিলা আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে। আমাকে ফাঁসাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। সকল মিডিয়াতে সংবাদে প্রকাশিত হয়, আমি তখন পলাতক ছিলাম। এমন কি ওই নারীর নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘন্টা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ পাহারা দেয়। এ সময় আমি কিভাবে উনাকে ধর্ষণ করলাম? টাকা ও স্বর্ণালংকার নেওয়ার তো কোন প্রশ্নয় আসে না। বরং আমার বাড়িতে আমার অসুস্থ মা-বাবা থাকেন। মা অন্ধ এ সুযোগে আমার বাড়ি থেকে অনেক মালামাল ছড়ানো হয়েছে। ওই নারীর কথিত দুলাভাই নওরোজ নাকোল বাজার মুন্সি মার্কেটে বসে আমার গোষ্ঠীর লোকজনের হুমকি দিচ্ছে। কিছুদিন আগে চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলীকে মারধর করেছে। আমরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি ফরিদপুর চাকরি করি। আমি ঘটনার আগে-পরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। ভাই ধর্ষণ করেছে, তা না কি আমি ভিডিও করেছি! কয়েকদিন আগে আমি বাড়িতে গেলে নওরোজ আমাকে নাকোল মুন্সি মার্কেটে ডাকে। পরে সে এবং তার কিছু লোকজন আমাকে হুমকি দেয় এবং আমাকে মারধর করে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান বলেন, ওই নারীর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের সাথে কথা বলে ২৪ ঘন্টা আমার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশেরা পাহারা দিয়েছে। পাহারা অবস্থায় এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.